নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার ঠিক পরে বেশ কিছুদিন মাস্কের আকাল ছিল। এন ৯৫ মাস্ক চেয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেছেন অনেকেই।


পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এখন বিশ্বের নতুন উদ্বেগ হচ্ছে করোনা বর্জ্য। রোজ দুনিয়া জুড়ে লক্ষ লক্ষ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাধারণ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন এবং ফেলে দিচ্ছেন। ফলে পাহাড় জমছে বর্জ্যের।


সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিভাগের সমীক্ষা নতুন দিশা দেখিয়েছে। তাদের মতে এন ৯৫ মাস্ককে যদি আধ ঘণ্টা গরম করে নেওয়া যায়, তা হলে তা ফের ব্যবহার করা যাবে।


এই তত্ত্বের এক প্রবক্তা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ স্টিভেন চু-র মতে ’’এটা সত্যিই একটা ইস্যু, ফলে আপনি যদি সত্যিই এমন কোনও উপায় পান যার মাধ্যমে আপনি মাস্ক পুনর্ব্যবহার করতে পারবেন, তা হলে আপনার কাছে মাস্কও কম জমবে।‘‘


স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিভেন চু, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিভাগের ভাইরোলজিস্ট স্কট উইভার- সহ আরও দুই অধ্যাপক জানিয়েছেন, মাস্ককে সংক্রমণ মুক্ত করতে সঠিক তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা প্রয়োজন।


এই দুটির মেলবন্ধন সঠিকভাবে করতে পারলে ব্যবহৃত মাস্ক ভাইরাস মুক্ত হয়ে যাবে। পরীক্ষার সময় নমুনাটিকে ২৫-৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আধ ঘণ্টা গরম করেছেন। আর্দ্রতার মাত্রা ছিল ১০০ শতাংশ।


এর ফলে মাস্কটিতে যে করোনা ভাইরাসের জীবাণু ছিল তা মরে যায়। মাস্কটিকে ভাইরাসমুক্ত করার সময় তাপমাত্রা বা আর্দ্রতা কোনওটিই যেন বেশি না হয়ে যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেছিলেন পরীক্ষকরা। কারণ সে ক্ষেত্রে মাস্কের ফিলটার ক্যাপাসিটি বা সংক্রমণ আটকানোর ক্ষমতা কমে যায়।


ওই গবেষকদের মতে এন ৯৫ মাস্ক ভাইরাস মুক্ত করার আদর্শ তাপমাত্রা হল ৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১০০ শতাংশ আর্দ্রতা। এর ফলে মাস্কটি পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়।


এরকম ভাবে মাস্কটি ২০ বার পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। শুধু করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে নয়, সর্দি বা ঠান্ডা লাগা এবং চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের ক্ষেত্রেও মাস্ককে এ ভাবে জীবাণুমুক্ত করা যাবে।