এক সাক্ষাৎকারে স্পেসএক্স সিইও এমল এমন নাম রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন, আবার উচ্চারণও বলে দিয়েছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এমন নাম উচ্চারণ করবেন কী করে? এটা কি আপাতত রাখা হয়েছে, পরে পাল্টে দেওয়া হবে? এলন বলেন, মোটেই না। আর উচ্চারণ শিখিয়ে দেন এক্স অ্যাশ এ টুয়েলভ। তারপর অক্ষর ধরে ধরে অর্থ ব্যাখ্যা করেন।
এলন বলেছেন, এই নাম তিনি রাখেননি, রেখেছেন তাঁর বান্ধবী, সদ্যজাতর মা গায়িকা গ্রাইমস। এক্স হচ্ছে ইংরেজি অক্ষর, সকলেই জানি। Æ কিছু ভাষায় ব্যবহৃত হয়, যেমন ড্যানিশ ও নরওয়ের ভাষা। উচ্চারম হবে হয় অ্যাশ, নয় এই। এ-১২ মাস্ক নিজে রেখেছেন, তাঁর অন্যতম বিমান আর্কঅ্যাঞ্জেল ১২-এর নামে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে উচ্চারণ দাঁড়াল এক্স-অ্যাশ-এ-টুয়েলভ।
তবে নাম যাই হোক, মাস্ক কিন্তু স্কুলের খাতায় ছেলের এই নাম রাখতে পারবেন না। বেআইনি না হলেও এই নাম সিদ্ধ নয়, জানিয়েছেন তাঁদের পরিবারের আইনজীবী ডেভিড গ্লাস। ক্যালিফোর্নিয়ায় ইংরেজি ভাষার ২৬টি অক্ষরের মধ্যে থেকেই শিশুর নাম বাছতে হয়। তাই নামে সংখ্যা, রোমান হরফ, ইমোজি বা অন্য কোনও প্রতীক ব্যবহার করা সম্ভব নয়। যদিও অ্যাপোস্ট্রফি চলে যেমন ও’কোনোর। তাই এমন উদ্ভট নাম নিয়ে জোরাজুরি করতে গেলে শিশুটি বার্থ সার্টিফিকেট নাও মিলতে পারে।