করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য যে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়া হয়েছে রাণা হাসপাতাল সেগুলির অন্যতম। হাসপাতালের চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ভেঙ্কটেশ চতুর্বেদী জানিয়েছেন, ফিজিশিয়ান অজিত প্রতাপ সিংহ ও গাইনিকোলোজিস্ট ও অবস্টেট্রিসিয়ান সোনা ঘোষের নিশ্ছিদ্র তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীরা সকলেই একেবারে সুস্থ আছেন।
সোমবারই কোভ্যাক্সিনের মানব দেহে ট্রায়াল শুরু হয়েছে ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস ও এসইউএম হাসপাতাল। রোহতকের পিজিআইএমএস-এআবার মানব দেহে ট্রায়ালের প্রথম পর্যায় ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ট্রায়াল শুরু হয়েছিল ১৭ জুলাই, যোগ দেন ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী। ভ্যাকসিন ট্রায়াল টিমের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর সবিতা শর্মা জানিয়েছেন, ফলাফল আশাপ্রদ। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের ফল নিয়ে এখন বিশ্লেষণ করছেন গবেষকরা, ফল প্রকাশ হলে ডেটা সেফটি মনিটরিং বোর্ড বা ডিএসএমবি প্যানেল পরবর্তী পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য সবুজ সংকেত দেবে।
দিল্লিতে ৩৭৫ জনের ওপর করোনা টিকার পরীক্ষা হয়েছে। সে পরীক্ষার ফল বেরিয়ে গেলেই টিকার নিরাপত্তা নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে।
যে ১২টি প্রতিষ্ঠানে কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষা চলছে সেগুলি হল, এইমস-দিল্লি, নিজামস ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস- হায়দরাবাদ, পিজিএমআইএস- রোহতক, এসআরএম মেডিক্যাল কলেজ হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার- চেন্নাই, এইমস- পটনা, রেদকর হাসপাতাল- গোয়া, গিল্লুরকর মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার- নাগপুর, এসইউএম হাসপাতাল- ভুবনেশ্বর, জীবন রেখা হাসপাতাল- বেলাগাভি, কিং জর্জ হাসপাতাল- বিশাখাপত্তনম, প্রখর হাসপাতাল- কানপুর ও রাণা হাসপাতাল- গোরক্ষপুর। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরীক্ষা শেষ করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে আইসিএমআর নির্দেশ দিয়েছে।