মিসৌরি: ভ্যাকসিন পেয়ে জোরদার হয়েছে যুদ্ধ, তবে এখনও অতিমারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ববাসী। করোনাকালের ধাক্কা অনেকটাই বদলে দিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। এমনকি সেই প্রভাব পড়েছে মৃত্যুবরণেও। তথ্য জানান দিচ্ছে, অতিমারীরকালে হাসপাতালের ঝক্কি এড়িয়ে ঘরে থেকেই মৃত্যুবরণের হার বেড়েছে একলাফে অনেকটা।


মার্কিন মুলুকের মিসৌরি প্রদেশের এক সমাধিক্ষেত্রের মালিক ব্রায়ান সিমন্স জানিয়েছেন অতিমারীর প্রভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই বেড়ে গিয়েছে তাঁর বাড়ি বাড়ি গিয়ে মৃতদেহ বয়ে নিয়ে আসার সংখ্যা। কেন এমনটা হচ্ছে জানতে চাইলে ব্রায়ান বলছিলেন, ‘শারীরিকভাবে যারা বেশ অসুস্থ, তারা  কঠিন সময়ে পরিবার ছেড়ে হাসপাতালে শেষের দিনগুলো হয়তো কাটাতে চাননি। তাছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলেও পোহাতে হত একাধিক ঝক্কি, তাই খুব অসুস্থ কেউ না হয়ে পড়লে বেশিরভাগই বাড়িতে থেকেই চিকিৎসার দিকে ঝুঁকেছিলেন। কিছুক্ষেত্রে যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।‘


ক্রিসমাসের ঠিক আগে ব্রায়ানের মেয়ে  আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনা ভাইরাসে। যে সময় ফোনে তাঁর শরীরের খোঁজ নেওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না ব্রায়ানের। তাই তাঁর কথা, ‘কঠিন সময়ে কাছের লোকেদের সঙ্গে থাকার যে মানসিক টান কতটা বেড়ে যায়, সেই উপলব্ধি আমিও পেয়েছিলাম। হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ মেয়েকে দেখেও তাঁর কাছে যাওয়ার উপায় ছিল না। খুব কষ্টে কেটেছিল দিনগুলো।‘


মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রের খবর, করোনাকালে অসুস্থ রোগীদের বাড়ি বয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার আর্জি নার্সদের কাছে একধাক্কায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। শুধু মার্কিন মুলুকেই নয় গোটা বিশ্বে দেখা গিয়েছিল যে চিত্র। বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আর্থিকভাবে যারা ততটা সমর্থ নন, তাদের অনেকেরই নিদ্রাহীন রাত্রি কেটেছিল কোভিডকালে।


এমনকি কোভিডের জন্য যে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল, তাদের দ্রুত বাড়িতে ফেরোনার জন্য তাদের পরিবারের লোকেরাও বেশ অস্থির ছিলেন। বর্তমানে গোটা বিশ্বে ভ্যাকসিনের ডোজের পর থেকে নিম্নগামী কোভিডের গ্রাফ। তবে এখনও চিন্তায় রেখেছে করোনার নতুন স্ট্রেন। পাশাপাশি আগের করোনা সতর্কতা গুলি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরাও।