ওয়াশিংটন: চারদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর আতঙ্ক। তার মধ্যে কর্মস্থলে চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগ তুলে অধিক সুরক্ষার দাবিতে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত আমাজন কর্মীদের।



সোমবার, কর্মী  সংগঠন অ্যাথেনা কোয়ালিশনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারী আবহে কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান ও জনস্বাস্থ্য বজায় রাখতে আমাজনের চরম ব্যর্থতার প্রতিবাদে এটাই এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ পদক্ষেপ, যা কর্মীরা নিয়েছেন।

এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন মূলত ওয়্যারহাউসে কাজ করা কর্মীরা। চলতে সপ্তাহের শেষ থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা করেছেন সংস্থার কোডার ও ইঞ্জিনিয়াররা। এই মার্কিন সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, করোনার আতঙ্ক শুরু হতেই কর্মীদের  সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ১৩০টির মতো ওয়্যারহাউস রয়েছে আমাজনের। দাবি, প্রায় ৩০ জন কর্মী কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। কর্মস্থলের পরিবেশ অত্যন্ত নিম্নমানের। এক কর্মী বলেন, আমাদের প্রতিদিন দুটি বিকল্পের জাঁতাকলের মাঝে পড়তে হয়। এক, চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার ঝুঁকি নাও, অথবা চাকরি ছাড়ো।

ওই কর্মীর অভিযোগ, কর্মচারীদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি সুনিশ্চিত করার বদলে যারা এটা নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে, তাদের চাকরি খোয়াতে হচ্ছে। সংস্থা সকলের কাছে মিথ্য়ে দাবি করছে। দু সপ্তাহ আগে, আমাজন জানিয়েছিল যে, তারা কর্মীদের জন্য কয়েক লক্ষ মাস্ক বিলি করেছে। কিন্তু, কর্মীদের দাবি, পুরোটাই ভাঁওতা।

এখানে বলে রাখা দরকার, লকডাউন শুরু হওয়া ইস্তক, আমাজনের অর্ডারের সংখ্যা প্রভুত বৃদ্ধি পেয়েছে। সিয়াটেলের এই ই-কমার্স সাইটের শেয়ার দর বর্তমানে আকাশছোঁয়া।