কলকাতা: পাখির চোখ একুশের বিধানসভা ভোটের দিকে। তাকে ঘিরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। শাসক ও বিরোধী, পরস্পরের দিকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের তির ছুঁড়তে গিয়ে টেনে আনছে বাঙালির বাবু সংস্কৃতিকে। এবার এমনই বিদ্রুপের তির ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ক্যাপসুল লিফট আমার বাড়িতে নেই।
একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিচেন ক্যাবিনেটের সদস্য মদন মিত্র। কিন্তু কাকে নিশানা করলেন দুঁদে রাজনীতিবিদ? রাজনৈতিক মহলে বেশ স্পষ্ট মদনের তির কার দিকে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের মুখে প্রথম খোঁচাটা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমি প্যারাসুটেও নামিনি, লিফটেও উঠিনি, ধাপে ধাপে এই জায়গায় পৌঁছেছি। এরপরই আসরে নামেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লিফটে চড়লে ৩২টা পদ পেতাম, প্যারাসুটে নামলে দক্ষিণ কলকাতায় লড়তাম।
এখন প্রশ্ন হল, ক্যাপসুল লিফটের কথা বলে কার দিকে ইঙ্গিত করলেন মদন মিত্র? কোন হেভিওয়েটের বাড়িতে আছে ক্যাপসুল লিফট? এখানেই চুপ করে থাকেননি প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। আরও ইঙ্গিতবহ মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, কথায় কথায়, কলকাতা থেকে মালদা-মুর্শিদাবাদ যাই না। চপারে করে কলকাতা ছাড়ার ভাগ্য আমার নেই। কেউ আছে আলিপুরে, কেউ বারুইপুরে, কেউ ভবানীপুরে, গেট রেডি ফর প্যাকআপ। তৃণমূলে সবাই ড্রেসিংরুমে রয়েছে, মেকআপ তোলার পালা চলছে।
মদন মিত্রের এই মন্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, মদন কারও নাম বলেননি, দল ব্যবস্থা নেবে যদি মনে করে। এবিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, অনেকে বলতে পারছেন না, উনি বলেছেন। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ি বলেন, জাহাজ ডুবছে, এরা ইঁদুর। কোন ইঁদুর আগে বাঁচবে, তার যুদ্ধ চলছে। মারপিট করছে, একে অন্যের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছে।