দীর্ঘ সাড়ে ৭ মাস বন্ধ থাকার পর ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে শহরতলির লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে মেট্রোও। কিন্তু থমকে ছিল আন্তঃরাজ্য রেল পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে আন্তঃরাজ্য রেল পরিষেবা চালু করার প্রস্তাব দিয়ে পূর্ব রেলকে চিঠি দেন পরিবহন সচিব রাজেশ কুমার সিনহা।
সেই চিঠির প্রেক্ষিতে পূর্ব রেল জানিয়েছে, বুধবার থেকে ৮১ টি নন সাবার্বন প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে। ট্রেনগুলি চলবে হাওড়া, আসানসোল ও মালদা ডিভিশনে। হাওড়া ডিভিশনের মধ্যে রয়েছে, বর্ধমান-রামপুরহাট ৮টি, রামপুরহাট-গুমানি ৬টি, রামপুরহাট-দুমকা-জসিডি ২টি, কাটোয়া-আজিমগঞ্জ ৮ এবং আজিমগঞ্জ -রামপুরহাটে ৬টি ট্রেন।
আসানসোল ডিভিশনে রয়েছে, বর্ধমান- আসানসোল রুটে ৮টি , অণ্ডাল-সাঁইথিয়া ৪, আসানসোল-ধানবাদ ৪ , আসানসোল-জসিডি-ঝাঁঝা রুটে ৪টি এবং অণ্ডাল -জসিডি রুটে ২টি ট্রেন চলবে জসিডি-বৈদ্যনাথ রুটে ৫টি ট্রেন। ভাগলপুর-দুমকা রুটে ৪ টি ট্রেন, রামপুরহাট-দুমকা-জসিডিরু রুটে ২ টি ট্রেন।
অন্যদিকে মালদা ডিভিশনে চলবে ১৮টি ট্রেন।
পূর্ব রেলের সিপিআরও কমল দেউদাস বলেছেন, কাল থেকে তিনটি ডিভিশনে ট্রেন চলবে। যাত্রীদের কাছে অনুরোধ করোনার সমস্ত প্রোটোকল মেনে চলুন। মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন।
হাওড়া-কাটোয়া ডিভিশনেও ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি তুঙ্গে। সামাজিক দূরত্ব মানতে কাটা হয়েছে গোল দাগ। স্টেশনে ঢোকা ও বেরনোর জন্য থাকছে আলাদা গেট। স্টেশনে থাকছে থার্মাল চেকিং-এর ব্যবস্থা।
আসানসোল ডিভিশনে ট্রেন চালুর প্রস্তুতি তুঙ্গে। স্টেশনে কোভিডের সমস্ত প্রটোকল মানা হচ্ছে কিনা, তা জিআরএম নিজে এদিন সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। স্টেশনগুলিতে আগের মতই থাকছে থার্মাল চেকিং-এর ব্যবস্থা। থাকছে স্যানিটাইজার মেশিন। যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
শহরতলির ট্রেন চালু হলেও এখনও পর্যন্ত পরিষেবা নিয়ে কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। পূর্ব রেলের আশা, নন সাবার্বন প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলার ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হবে না।