আজই সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এক টাকা প্রতীকী জরিমানা করে। তিন বিচারপতির সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জরিমানার অর্থ দিতে না পারলে তিন মাসের জেল খাটতে হবে প্রশান্তকে, তিন বছর আইনি পেশাও চালাতে পারবেন না।
আজ বেশ কঠোর ভাষা প্রয়োগ করে দেওয়া রায়ে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে শীর্ষ আদালত বলেছে, প্রশান্ত ভূষণ ট্যুইটগুলি করেছেন বিকৃত তথ্যের ভিত্তিতে, ওই ট্যুইটে দেশের বিচার ব্যবস্থার ভিত্তি দুর্বল করা হয়েছে। ২০ বছর ধরে বিচারব্যবস্থায় একজন আইনজীবী হিসাবে যুক্ত প্রশান্ত ভূষণের এমন আচরণ কাঙ্খিত নয়।
প্রথম যে ট্যুইটের জন্য ভূষণকে দোষী বলা হয়েছে, তাতে তিনি সুর্প্রিম কোর্টের গত ৬ বছরের কাজকর্মের সমালোচনা করে কটাক্ষ করেন, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করায় সাহায্য করেছে, সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকাকে এভাবেই চিহ্নিত করবেন ইতিহাসবিদরা। দ্বিতীয় ট্যুইটে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের হার্লে ডেভিডসন বাইকে বসে থাকার ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, প্রধান বিচারপতি ৫০ লাখি একটি মোটরসাইকেলে চাপেন যেটি নাগপুর রাজভবনের এক বিজেপি নেতার। আর নিজে মাস্ক বা হেলমেট কিছুই পরেননি, অথচ সুপ্রিম কোর্টে লকডাউন বহাল রেখে নাগরিকদের ন্যয়বিচার পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। ৯ জুলাই মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে, প্রথম শুনানি হয় ২২ জুলাই। ১৪ আগস্ট তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।