নয়াদিল্লি: কালো টাকা মোকাবিলায় নোট বাতিলের পর এবার সদ্য চালু হওয়া বেনামী লেনদেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু করেছে আয়কর বিভাগ। এই আইনের আওতায় দেশজুড়ে ৮৭ টি নোটিশ জারি এবং এ সংক্রান্ত ৪২ টি মামলায়  কয়েক কোটি টাকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেনামী লেনদেন আইনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জরিমানা ও সর্বোচ্চ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সংস্থান।

গত বছরের ৮ নভেম্বর কেন্দ্রের নোট বাতিলের পর আয়কর বিভাগ বিজ্ঞাপন দিয়ে অঘোষিত অর্থ অন্য কারুর অ্যাকাউন্টে জমা করার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল। আয়কর বিভাগ জানিয়েছিল, এসব ক্ষেত্রে ১৯৮৮-র বেনামী সম্পত্তি লেনদেন আইন অনুযায়ী ফৌজদারী অপরাধের মামলা রুজু করা হবে। স্থাবর ও অস্থাবর উভয় ধরনের সম্পত্তির ক্ষেত্রেই এই আইন প্রযোজ্য। ২০১৬-র ১ নভেম্বর ওই আইন চালু হয়েছে।

বিভাগের পর্যালোচনা রিপোর্ট উল্লেখ করে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পুঙ্খানুপূঙ্খ তদন্তের পর আয়কর বিভাগ আইনের ২৪ ধারায় ৮৭ টি নোটিশ জারি করেছে। বেনামীদারদের ৪২ টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে  ব্যাঙ্ক  অ্যাকাউন্টগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে বেশ কয়েক কোটি টাকা রয়েছে। এছাড়াও বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি স্থাবর সম্পত্তিও।

বেনামী লেনদেন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে নোডাল এজেন্সি হল আয়কর বিভাগ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই আইন অনুযায়ী, অসংখ্য সমন জারি হয়েছে এবং আগামী দিনে আরও করা হবে।

বেনামি অ্যাকাউন্ট, জন ধন অ্যাকাউন্ট বা নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়ে খোলাখুলিভাবে বেআইনি কাজ করার বিষয়টি আয়কর বিভাগের নজরে আসার পর বেনামী লেনদেন আইনের কঠোর ধারা প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

নোট বাতিলের পর যে সব সন্দেহজনক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রচুর টাকা জমা পড়েছে সেগুলি চিহ্নিত করতে আয়কর বিভাগ দেশজুড়ে অভিযান শুরু করে।

অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টি বেনামী লেনদেনের আওতায় পড়বে। আয়কর বিভাগের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়েছেন তাঁকে লাভবান  এবং যাঁর অ্যাকাউন্টে পুরানো নোট জমা দেওয়া হয়েছে তাঁকে আইন অনুযায়ী বেনামীদার হিসেবে গন্য করা হবে।