অশোকনগর : সাত বছরের সম্পর্ক। তারপর বিয়ে। কিন্তু স্ত্রীকে আটকে রেখেছে শ্বশুরবাড়ির লোক। এই অভিযোগে ধর্নায় বসলেন যুবক। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা অশোকনগর দেবীনগরের। তাঁর দাবি, বউ ফেরত চাই। অন্যথায় ফিরিয়ে দিতে হবে তাঁর জীবনের সাত বছর।


অশোকনগরের মানিকতলার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সৌমেন দত্ত। দেবীনগরের গার্গীর সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছরের সম্পর্ক তাঁর। প্রথম থেকেই এই সম্পর্কে আপত্তি ছিল গার্গীর পরিবারের। সৌমেনের দাবি, বাড়ির অমত ছিল শুরুতেই। তাই গার্গী নিজেই রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে চান। তাই বাড়িতে না জানিয়ে আইনি বিয়ে সেরে ফেলেন তাঁরা। ঠিক ছিল সময় বুঝে তাঁরা বাড়িতে সব জানাবেন। সৌমেনের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই বাবা-মায়ের জন্য কিছুতেই তাঁরা দুজন এক হতে পারছেন না। যুবকের দাবি, রেজিস্ট্রির পর থেকে গার্গীর পড়াশোনা সহ যাবতীয় খরচ দিয়েছেন তিনি। এর প্রতিবাদে শনিবার বাইকের উপরে প্ল্যাকার্ড হাতে বসে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্না শুরু করেন ওই যুবক। প্ল্যাকার্ডে লেখা বিচার চাই।

এদিকে সৌমেনের দিকেই পাল্টা আঙুল তুলেছেন গার্গীর পরিবার। গার্গীর মায়ের অভিযোগ, ''মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন সৌমেন। সৌমেন উচ্চমাধ্যমিক পাশ। রোজগার বলতেও কিছুই নেই।'' এই সম্পর্ক মানেন না বলে সাফ জানাচ্ছে পরিবার। তাঁদের কথায়, ''গার্গী এখন লেখাপড়া করছেন। উচ্চশিক্ষিত হতে চান তিনি। চাকরি করবেন বলে ঠিক করেছেন। পরিবারের বক্তব্য সৌমেনের সঙ্গে কোনও ভাবেই তাঁর জীবন মিলবে না।'' শ্বশুরবাড়ির এই অবস্থানের পরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় সৌমেন। ওই যুবক বলেন, ''আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। নাহলে আমার জীবনের সাত বছর ফিরিয়ে দিতে হবে।'' তাঁর দাবি, ''কোনও মহিলার সঙ্গে এমন ঘটলে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমার ক্ষেত্রেও তেমন ব্যবস্থা নিতে হবে।'' যদিও মেয়েটির পরিবারও রেজিস্ট্রির কথা অস্বীকার করছে না। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় অশোকনগর থানার পুলিশ।