কলকাতা: সংবিধানের প্রণেতা বি আর অম্বেডকরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রেড রোডে বিজেপির সভা থেকে ফের তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ‘ভাইপো’-কে আক্রমণ করেন।


কৈলাস বলেন, ‘সোনা, কয়লা মাফিয়া কে? চলছে ভাইপোর সরকার। অম্বেডকর নয়, রাজ্যজুড়ে চলছে ভাইপোর সংবিধান। বাংলায় বিরোধীদের সম্মান নেই, দমনের চেষ্টা চলছে। কুর্সির জন্য নয়, বাংলাকে বাঁচাতে প্রাণ দিচ্ছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্যে লুঠপাট চালাচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বহিরাগত। রোহিঙ্গারা কী? তৃণমূল সরকারের কাছে বহিরাগতরাই আপন। বাংলাজুড়ে চলছে ধর্মের ভিত্তিতে তোষণের রাজনীতি। মমতার নাটক ধরে ফেলেছে বাংলার মানুষ। ২৫ লক্ষ টাকার চশমা পরেন ভাইপো। ৭৫ হাজার টাকার জুতো পরেন ভাইপো। যাঁরা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন, তাঁদের অভিশাপ পড়েছে। মমতা, আপনি দমানোর চেষ্টা করলেও, পারবেন না।’

মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে কৈলাস আরও বলেন, ‘কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেকোনও জায়গায় বাংলার কৃষকরা ফসল বিক্রি করতে পারেন। কেন্দ্রেরও একই আইন, তাও মমতার দ্বিচারিতা। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চায় না মমতার সরকার। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রের রেশন। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু। বিজেপিতে আসার পরেই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ৪৫টি মামলা।’

মুকুল বলেন, ‘সিএএ আইনের রূপায়ণ শুরু জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে। আর কয়েকদিন বাদেই বাংলায় ভোটে সবাই অংশ নিন। ২০২১-র লড়াইয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতেই হবে। ২০০-র বেশি আসনে বিজেপিকে জেতাতেই হবে। আগামী দিনে অনুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে হবে তৃণমূলকে। আমাদের সভা করতে দেবে না বলছে, ইতিহাসের দেওয়াল লিখন পড়তে হবে।’

অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও আজ তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেদিনীপুরের জনসভা নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোকের ভিড়ে মঞ্চ ভেঙে পড়েছিল। কাল মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক হবে না। চাইলে আমরা লোক পাঠাতে পারি।’

পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি সহ বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে দিলীপের হুঁশিয়ারি, ‘তৃণমূলের কীভাবে দাঁত ভাঙতে হয় জানি।’

বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, ‘সারদা কর্ণধার সুদীপ্ত সেন কেন লিখেছেন, কী লিখেছেন জানি না, সিবিআই জেরা করলেই সত্য সামনে আসবে। জেলের আসামির অধিকার নেই বিজেপির নাম লেখার। সিবিআই সারাবছর প্যারেড করাচ্ছে। নেতারা গ্রেফতার হবেন। রিপোর্ট জমা পড়েছে।’