নয়াদিল্লি: গতকালই ভারতের নৌবাহিনীতে অবজারভার হিসেবে হেলিকপ্টার শাখায় যোগ দিয়েছিলেন সাব লেফটেন্যান্ট কুমুদিনী ত্যাগী, সাব লেফটেন্যান্ট রীতি সিংহ। এবার বিমান বাহিনীতে ইতিহাস তৈরি হতে চলেছে। রাফাল যুদ্ধবিমানে নিযুক্ত হতে চলেছেন মহিলা পাইলট। অম্বালায় গোল্ডেন অ্যারোড স্কোয়াড্রনে খুব শীঘ্রই যোগ দিতে চলেছেন তিনি। আপাতত তিনি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে মিগ ২১ চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনায় ১০ মহিলা ফাইটার পাইলট ও ১৮ জন মহিলা নেভিগেটর রয়েছেন। ভারতীয় বায়ুসেনায় মোট মহিলা অফিসারের সংখ্যা ১৮৭৫।
গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক সংসদে জানিয়েছিলেন, কৌশলগত ও পরিচালনগত প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় বায়ুসেনায় মহিলা ফাইটার পাইলট নিয়োগ করা হবে।
১৯৫১ সালের ১ অক্টোবর অম্বালায় গোল্ডেন অ্যারোজ স্কোয়াড্রন গড়ে ওঠে। ১৯৫৫ সালে দেশের প্রথম যুদ্ধবিমান এখানেই আসে। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বায়ুসেনার এই স্কোয়াড্রনকে নতুন করে গড়ে তোলা হয়। চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর অম্বালার এই বায়ুসেনায় ঘাঁটিতে এসে পৌঁছয় পাঁচ রাফাল যুদ্ধবিমান। ফ্রান্সের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি সরকার মোট ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে। ২০২১ –এর মধ্যে স বকটি রাফাল যুদ্ধবিমান দেশে চলে আসার কথা।
রাশিয়া থেকে সুখোই যুদ্ধবিমান কেনার ২৩ বছর পর দেশের সেনাবাহিনীতে যুক্ত হল রাফাল যুদ্ধবিমান। অ্ত্যাধুনিক মানের এই যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে কংগ্রেস। ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের প্রায় বছর চারেক বাদে সেনাবাহিনীতে যুক্ত হল রাফাল। ৩৬টি রাফাল ঘরে আনতে ভারতের খরচ হবে ৫৯ হাজার কোটি টাকা।