নয়া দিল্লি: টিকার ককটেল ঘোষণা হতেই নানা মুনির নানা মত চলছিল দেশে। ভ্যাকসিন ককটেল কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। এই আবহে আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গভ জানালেন, ‘আগে কোভ্যাক্সিন নেওয়া হলে, বুস্টার ডোজও নিতে হবে কোভ্যাক্সিন। কোভিশিল্ড নিয়ে থাকলে, বুস্টার ডোজও হবে কোভিশিল্ড’।
কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, প্রথম ডোজ আর দ্বিতীয় ডোজ যদি ভুলক্রমে দুটি আলাদা ভ্যাকসিনের হয়, তাহলে কী হবে !! ককটেল ভ্যাকসিন কি আদৌ উপকারী ? নাকি বিপদ ভারী? এ বিষয়ে এর আগে ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার এবিপি লাইভকে জানিয়েছিলেন, মিক্স অ্যান ম্যাচ ভ্যাকসিন নেওয়ার ফল যদি ভাল হয়, তাহলে ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা হবে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই ট্রেন্ড এই মুহূর্তে চালু করা বিপজ্জনক হতে পারে। যদিও স্ফুটনিকের ক্ষেত্রে দুটি ডোজ, দুই রকমের। তাই এই ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ককটেল করা সম্ভবত সম্ভব হবে না।
এদিকে, দেশে করোনায় দৈনিক সংক্রমণ একলাফে বাড়ল ৫৫%। ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ হাজার ছাড়াল আক্রান্তর সংখ্যা। গত ৮ দিনে দেশে ৬ গুণেরও বেশি সংক্রমণ। সংক্রমণের হার দশমিক ৭৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ শতাংশ পার। সংক্রমণের হারে মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দেশের ২৮ জেলার পরিস্থিতি সবথেকে ভয়াবহ। ১০ শতাংশের উপরে সংক্রমণের হার দেশের ২৮ জেলায়।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রনে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কারও পরপর তিনদিন জ্বর না এলে সাতদিন আইসোলেশনে থাকলেই হবে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও করোনা আক্রান্তদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকারই পরামর্শ দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এক আধিকারিক এই বার্তা দিয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা ইনসিডেন্ট ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট টিমের আধিকারিক আবদি মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রতিটি দেশে ওমিক্রন বা করোনা আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সরকার কোয়ারেন্টিন বা হোম আইসোলেশবনের সময়সীমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যে দেশগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম, সেই দেশগুলিতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনই রাখা উচিত। কারণ, তাহলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে যে দেশগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেই দেশগুলি সাতদিনের হোম আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতেই পারে। কারণ, সেই দেশগুলির স্বাস্থ্যব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।