সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলেও জানিয়ে দেন রিজভি। পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের প্রতি কোনও অন্যায়, বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগও উড়িয়ে রিজভির দাবি, মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ-সকলেই তাঁদের দেশে শান্তি, সম্প্রীতির পরিবেশে পাশাপাশি থাকেন।
গত ১২ ডিসেম্বর ভারতের সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর বাংলাদেশের দুই শীর্ষমন্ত্রী পূর্বনির্ধারিত ভারত সফর বাতিল করেছেন। তারপর রিজভি একথা বললেন। সূত্রের খবর, ঢাকায় ভারতীয় কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশের বর্তমান হাসিনা সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে অভিমত জানালেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের উদ্দেশ্য, কারণ নিয়ে খুশি নয় তারা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশের পর আইন হওয়ার পরের দিন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এই অভিযোগ খারিজ করে দেন যে, তাঁদের দেশে সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার। তিনি বলেন, ভারত ঐতিহাসিক ভাবেই একটি সহনশীল দেশ, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। তা থেকে বিচ্যুতি হলে ভারতের এই পরিচিতি মার খাবে, দুর্বল হবে। ভারত, বাংলাদেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে বলে জানান তিনি, বলেন, এটা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এক ‘সোনালি অধ্যায়’, সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের দেশের মানুষ (বাংলাদেশিরা) আশা করেন, ভারত এমন কিছু করবে না, যা তাঁদের মধ্যে আশঙ্কা, উদ্বেগ ছড়াবে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগ ‘সত্য নয়’ বলে দাবি করে মোমেন বলেন, যারাই ওদের এমন তথ্য দিয়ে থাকুক, তা সঠিক নয়। আমাদের দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই নেন ভিন ধর্মাবলম্বী মানুষজনষ। আমরা মানুষকে তার ধর্মীয় পরিচিত দিয়ে বিচার করি না।