নয়াদিল্লি : দেশে লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণের মধ্যে প্রবল আশার বাণী শোনাল চিকিৎসকমহল। কোভিডের যাবতীয় নিয়মনীতি মেনে চললে, পরিস্থিতি সামলাতে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব দেশবাসী নিলে মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে গোটা দেশের সংক্রমণের হার মাত্র পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব। এমনটাই জানালেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)-র মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক নভনীত উইগ।
রবিবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন একঝাঁক চিকিৎসক। এইমসের ডিরেক্টর চিকিৎসক রনদীপ গুলেরিয়া, ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস চিকিৎসক সুনীল কুমার, মেদান্তার চেয়ারম্যান চিকিৎসক নরেশ ত্রেহান ও চিকিৎসক নভনীত উইগ যোগ দিয়েছিলেন ভিডিও কনফারেন্সিং-র মাধ্যমে।
সেই মঞ্চ থেকেই চিকিৎসক নভনীত উইগ বলেন, 'ভারতের সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা সম্ভব। আগামী তিন সপ্তাহ যদি প্রয়োজনীয় সমস্ত কোভিড নিয়মনীতি মেনে চলা হয় তাহলেই সেটা সম্ভব।' তিনি জোড়েন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া উচিত জেলাভিত্তিক সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করার দিকে। সেটাকে এক থেকে পাঁচ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিতে হবে। একসময় মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় ২৬ শতাংশ হারে শংক্রমণ ছাড়াচ্ছিল। কড়া কার্ফুর জেরে যা নেমে এসেছে ১৪ শতাংশে। এই মুহূর্তে দিল্লিতে সংক্রমণের হারটা ৩০ শতাংশ।'
চিকিৎসকরা সকলেই তাদের যৌথ মঞ্চ থেকে এই পরিস্থিতিতে থেকে পরিত্রাণ পেতে স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার বিষয়টিতে বাড়তি জোর দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, করোনাকে হারাতে হলে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যের দিকটায় সবথেকে বেশি নজর রাখতে হবে। প্রচুর স্বাস্থ্যকর্মী করোনার সংক্রমণে পড়ছেন। তাদের যদি না রক্ষা করা যায় তাহলে রোগীদের কে বাঁচাবে। আর তেমনটা হলেই তবে দেশের অর্থনীতি বাঁচবে।
এমনিতে এই মুহূর্তে দেশজোড়া ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে করোনা সংক্রমণ। সুনামির মতো তা গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এই মুহূর্তে দেশে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন লক্ষ ছুঁইছুঁই। গত পাঁচদিন টানা ২ হাজারের বেশি ভারতীয়কে হারিয়েছি আমরা।