কলকাতা: হিন্দু ধর্মে প্রতিটি গৃহে ঠাকুরঘর থাকা জরুরি। ঘর পবিত্র হলে সেখানে সুখশান্তি থাকে, বাসিন্দাদের মনে থাকে ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা ও বিশ্বাস। কিন্তু বহু সময় দেখা যায়, বাড়িতে ঠাকুরঘর তৈরি করা আর তাকে সাজিয়ে তোলার সময় কিছু ভুলচুক হয়ে যায় যার ফল হয় সূদূরপ্রসারী। ফলে নিয়মিত পূজাঅর্চনা করলেও ঠিকমত ফল পাওয়া যায় না, সৌভাগ্য বদলে যায় দুর্ভাগ্যে, ভগবান অসন্তুষ্ট হন। দেখে নিন, ঠাকুরঘর তৈরির সময় কোন বিষয়গুলিতে নজর দেওয়া উচিত


১. বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী ঠাকুরঘর সব সময় তৈরি করা উচিত উত্তর বা পূর্ব দিকে।

২. ঠাকুরঘরে কখনও একের বেশি মূর্তি বা ছবি রাখবেন না। যদি রাখেনও, ওই মূর্তি বা ছবিগুলিকে কখনও মুখোমুখি করে রাখবেন না।

৩. মূর্তিগুলির মধ্যে অন্তত ১ ইঞ্চির দূরত্ব রাখা উচিত।

৪. ঠাকুরঘরের দিকে বা ভগবানের দিকে পা করে কখনও শুতে নেই।

৫. ঠাকুরঘরের পাশে টয়লেট বানাবেন না।

৬. ঠাকুরঘরে পূর্বপুরুষদের ছবি কখনও রাখবেন না।

৭. ভগবানের রৌদ্র রূপের মূর্তি বা ছবি ঠাকুরঘরে কখনও রাখা উচিত নয়। সেখানে থাকবে শুধু ভগবানের সৌম্য রূপের ছবি, মূর্তি।

৮. ঠাকুরঘরে রোজ পূজা অর্চনা করবেন। দিনের বেলা ঠাকুরঘরের দরজা বন্ধ রাখবেন না।

৯. পূজার সময় ভগবানকে অবশ্যই ভোগ দেবেন। শুধু ধূপধুনো জ্বালিয়ে পুজো হয় না।

১০. ঠাকুরঘরে শনিঠাকুর বা ভৈরবের মত ভগবানের মূর্তি বা ছবি রাখবেন না।

১১. যে ভগবানের ছবি বা মূর্তি পূজা করেন, তা ভাঙা ফাটা হলে চলবে না।