নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতির জেরে আইপিএল ও সামগ্রিক ভাবে দেশে ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন নানা মহল। কিন্তু কপিল দেবের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার তা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাতে চান না। ১৯৮৩র ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক বরং স্কুল, কলেজে পড়াশোনার কী হবে, তা নিয়ে ভাবছেন, চাইছেন, সরকার এদিকে নজর দিক।
একটি খবরের চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, আমি বৃহত্তর সমস্যার কথা ভাবছি। ক্রিকেটই কি একমাত্র মাথা ঘামানোর ব্যাপার? আমি বরং উদ্বিগ্ন আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে যারা স্কুল, কলেজে যেতে পারছে না। ওরা তরুণ প্রজন্ম। আমি চাই, স্কুল আগে খুলুক। ক্রিকেট, ফুটবল আপনা থেকেই আবার শুরু হবে।
করোনাভাইরাস ত্রাণ তহবিলে অর্থ সংগ্রহের জন্য ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচের প্রস্তাবও খারিজ করেছেন কপিল। অর্থ জোগাড় করার অন্য আরও অনেক রাস্তা আছে বলে মনে করেন তিনি। কপিল বলেছেন, আবেগের বশে কেউ বলতেই পারেন, ঠিক আছে, ভারত, পাকিস্তানের ম্যাচ হওয়া উচিত। কিন্তু ম্যাচ খেলা এখন অগ্রাধিকার হতে পারে না। টাকার প্রয়োজন হলে সীমান্তে যত কাজকর্ম হয়, সব বন্ধ করা উচিত। সেই অর্থে স্কুল, হাসপাতাল হোক। এত ধর্মীয় সংগঠন আছে, তারা এগিয়ে আসুক না। ওদেরও তো দায়িত্ব আছে। আমরা ধর্মস্থান দর্শনে গিয়ে এত টাকাপয়সা দান করি, ওদেরও সরকারকে সাহায্য করা উচিত।
করোনা ত্রাণ তহবিলের জন্য ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচের প্রস্তাব প্রথম দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। যদিও কপিল সেই প্রস্তাব খারিজ করে বলে দেন, ভারতের অর্থের অভাব নেই। জবাবে শোয়েব বলেন, কপিল ভাই আমার আসল অভিপ্রায় মনে হয় বুঝতে পারেননি। এখন প্রত্যেকে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়বে। এখনই সবার হাত মিলিয়ে অর্থ সংগ্রহে নামা উচিত। আমি বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে অর্থাত আর্থিক সংস্কারের কথা বলছি। গোটা দুনিয়ার দর্শকমণ্ডলীর আকর্ষণ থাকবে এই ম্যাচ ঘিরে। এ থেকে অর্থ আসবে। কপিল বলেছেন, তাঁর অর্থের দরকার নেই, সত্যিই নেই। কিন্তু বাকিদের তো আছে। আমার প্রস্তাব শীঘ্রই গৃহীত হবে বলে মনে হয়।