হায়দরাবাদ : ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় নয়া মোড়। ওষুধ আনল(ওরাল সলিউশন) IIT হায়দরাবাদ। দুই বছরের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা আত্মবিশ্বাসী যে, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কোনও ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে এই ওষুধের বৃহৎ পরিমাণে উৎপাদন সম্ভব।
এই মুহূর্তে দেশে ব্ল্যাক ও অন্যান্য ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় Kala-Azar-এর চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। এই পরিস্থিতিতে নতুন ওষুধের শীঘ্রই ট্রায়াল প্রয়োজন বলে মনে করছেন অধ্যাপক সপ্তর্ষি চৌধুরি ও Dr. চন্দ্রশেখর শর্মা এবং PhD স্কলার ম্রুণালিনী গাইধানে ও অনিন্দিতা লাহা। গত দুই বছর ধরে এই ওষুধ তৈরির কাজ করছেন তাঁরা।
প্রতিষ্ঠানের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সপ্তর্ষি চৌধুরি ও Dr. চন্দ্রশেখর শর্মা একটি পরীক্ষায় প্রমাণ করেন যে, Kala-Azar-এর চিকিৎসায় কার্যকর ওরাল ন্যানোফাইভ্রাস AMB। এই গবেষণায় অর্থের জোগান দেয় DST-Nanomission।
IIT হায়দরাবাদ-এর তৈরি এই ওষুধটি একটি ৬০ এমজি-র ট্যাবলেট। যার দাম পড়বে ২০০ টাকা। এটা রোগী-বান্ধব। কারণ, এটি ধীরে ধীরে শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে, নেফ্রোটক্সিসিটি(কিডনিতে মেডিসিন ও কেমিক্যালের বিরূপ প্রতিক্রিয়া) কমবে। প্রচুর পরিমাণে উৎপাদনের লক্ষে এই প্রযুক্তিকে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটসের বাইরে রাখা হয়েছে। ফলে, বৃহৎ সংখ্যাক মানুষের কাছে এটা পৌঁছে যাবে। বলছেন Dr. চন্দ্রশেখর শর্মা ।
এই মুহূর্তে ভারতে ব্যাপক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এই ছাত্রাকঘটিক সংক্রমণের মোকাবিলা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড সুগার, কোভিডের চিকিৎসার সময় স্টেরয়েডের অপব্যবহার-এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। সরকার এই রোগের চিকিৎসায় ওযুধের সরবরাহ বাড়িয়েছে। অনেক রাজ্যই এই রোগকে মহামারী বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
চিকিৎসকদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরা ছত্রাকঘটিত সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড ও ছত্রাকঘটিত সংক্রমণকে একসাথে জুড়ে দেওয়ার পরিবর্তে, এই জাতীয় সংক্রমণের কারণগুলিতে নজরপাত করা উচিত।