কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকার চিনের ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত  নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রয়োগের সুযোগ অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর অধ্যাপক বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারিসহ অন্যান্য  বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন স্পনসর প্রোজেক্ট এবং স্টার্ট আপ ব্যবসাকে এবার থেকে নিজেদের ফলিত বিদ্যার মাধ্যমে সাহায্য করতে পারা যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা।  ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শাখা-র উদ্ভাবিত নানা অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্য আগামী দিনে সারা দেশের মানুষই উপভোগ করতে পারবেন বলে তাঁরা মনে করছেন।

তিওয়ারি বলেন, ‘আমরা এবং আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন রকম অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে উদ্যোগী হয়েছি। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির কাজ খানিক এগিয়ে গেলেই তার সুফল উপভোগ করতে পারেবন।’ তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট যে চিনের অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ার কিছু নেই, অনুরূপ অ্যাপ বা তার চেয়েও ভালো কিছু অ্যাপ দেশীয় কারিগরিতেই হাতে এসে পড়বে অবিলম্বে। গত বছর কেন্দ্রের মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁদের কাজের সুবিধার্থে আইআইটি যে সফটওয়্যারগুলি গড়ে দিয়েছে সেগুলির কথা আলাদা করে উল্লেখ করেন তিওয়ারি। তাঁর বক্তব্য, একই রকম সাফল্য অ্যাপ নির্মাণেই মিলবে।

ডিন অফ স্পনসরড রিসার্চ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসালটেন্সি অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তীও মনে করেন, চিনের সংস্থাগুলি নিষিদ্ধ হওয়ায় আইআইটি খড়গপুরের সামনে একটা বিরাট সুযোগ খুলে গিয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে অনেক নতুন অ্যাপ তৈরি করার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভারতে তৈরি অ্যাপ বিদেশি অ্যাপের সঙ্গে রীতিমতো লড়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে বলে মনে করেন তিনি। প্রোডাক্ট ডিজাইনিংয়ে যুক্ত থাকা আইআইটি খড়গপুরে একটা বড় সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীও প্রবল উত্তেজিত। যেমন লকডাউন পিরিয়ডে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন টিওয়াইএসএস সন্তোষ। তাঁর মতে, ‘অ্যাপকে যত বেশি ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগের উপযোগী করে তোলা যাবে, ততোই তা জনপ্রিয় হবে। ’ আর সে কাজটা নিজের দেশই যদি করতে পারে তাহলে আর টিকটক ইত্যাদি বিদায় নিয়ে কান্না অনর্থক।