নয়া দিল্লি : ধীরে ধীরে কমছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে। কিন্তু, এরই মধ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনও উৎসব উপলক্ষে জমায়েতের অনুমিত না দেওয়া হয়, ভারত সরকারের কাছে সেই অনুরোধ জানালেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জেএ জয়লাল। কেন্দ্রকে যে কোনও রকম জমায়েতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কারণ, বিশাল জমায়েত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।


আইএমএ-র প্রেসিডেন্ট সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, এখনই কোনও উৎসব পালন করা উচিত হবে না। তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। প্রসঙ্গত, আজই ওড়িশার পুরী ও গুজরাতের আহমেদাবাদে বাৎসরিক রথযাত্রা উৎসব পালিত হচ্ছে। এরকম একটা সময়ে কেন্দ্রের উদ্দেশে আবেদন জানিয়েছেন আইএমএ-র প্রেসিডেন্ট। যদিও অতিমারির কারণে পুরীতে রথযাত্রা উপলক্ষে ভক্ত সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। শুধুমাত্র সেইসব সেবাইতকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট রয়েছে।   


এদিকে ঝাড়খণ্ড সরকার রাজ্যবাসীকে বাড়িতেই জগন্নাথ পুজোর ব্যবস্থা করতে বলেছে। কারণ, অতিমারির কারণে এবার সেখানে রথযাত্রা বের করা হবে না। কলকাতার দুটি বিখ্যাত রথযাত্রা কমিটি তাদের উৎসব বাতিল করেছে। পরিবর্তে মন্দির চত্বরে ছোটখাট করে অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে। 


ফি বছর পুরীতে রথযাত্রার দিন জগন্নাথদেব, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে গুণ্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্টোরথের দিন সেখান থেকে ফেরেন তাঁরা। এই উৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর সেজে ওঠে ওড়িশার সমুদ্র-শহর পুরী। কিন্তু করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পুরী জগন্নাথ মন্দিরের প্রশাসক অজয় জেনা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুসারে এবং ওড়িশা সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, গত বছরের মতো এবছরও ভক্তহীন থাকছে পুরীর রথযাত্রা। এবছর কোনও ভক্ত রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।রথযাত্রা উপলক্ষে থাকছে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। প্রায় এক হাজার কর্মী নিরাপত্তার জন্য় মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রচুর সংখ্যায় পুলিশও মোতায়েন থাকবে।