কলকাতা: উমপুন বয়ে যাওয়ার দু’দিন পরেও কলকাতা জুড়ে ছড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় উমপুনের তাণ্ডবের ক্ষতচিহ্ন।


শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পড়ে রয়েছে বড় বড় গাছ। বহু এলাকা বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তারই মধ্যে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা চলছে। ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে যানবাহন চলাচল।

উত্তর থেকে দক্ষিণ - শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ সরানোর কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। তবে সমস্ত গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে মনে করছেন পুর আধিকারিকরা।

বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে রাস্তার উপর পড়ে রয়েছে গাছ ও ভেঙে পড়া বাতিস্তম্ভ।ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

উমপুনের ধাক্কা কলকাতার সৌন্দর্যায়নে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লেকটাউনে ক্ষতিগ্রস্ত বিগ বেনের ঘড়ি। ভেঙেচুরে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে ঘড়ির ডায়াল ও কাঁটা।

ঘূর্ণিঝড় উমপুনের তাণ্ডবের জের। বেলগাছিয়া এলআইজি আবাসনে গাছ উপড়ে তারের ওপর পড়ায়, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা এলাকা।

ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ায় বন্ধ গড়িয়া স্টেশন থেকে ইএম বাইপাস যাওয়ার মূল রাস্তা। বন্ধ পঞ্চসায়র রোডও। তারে গাছ পড়ায় পঞ্চসায়রের বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

গলফ গ্রিনে মিনিবাস স্ট্যান্ড যেন ধ্বংসস্তূপ। গাছ উপড়ে পড়েছে মিনিবাসের ওপর। ভেঙে তুবড়ে গিয়েছে বাস।

গাছ উপড়ে পড়ায় রাস্তা বন্ধ। এলাকায় জল নেই। আলো নেই। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আধঘণ্টা অজয়নগরের কাছে ইএম বাইপাস অবরোধ করেন বাসিন্দারা। পরে সার্ভে পার্ক থানা ও পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।