ইসলামাবাদ : পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে জারি হওয়া জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরওয়ানা সাসপেন্ড করল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত তা সাসপেন্ড করা হয়েছে। 


দেশের কোষাগার তোষাখানা (Toshakhana) থেকে উপহার (Gifts) কিনে লাভে তা বিক্রির অভিযোগ ঘিরে আইনি জটিলতায় পড়েন পিটিআই চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। উপহারের তালিকায় রয়েছে দামি হাতঘড়ি। যা ছাড়ের মূল্যে পান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। তোষাখানা থেকে পাওয়া এই উপহারের কথা গোপন করে রেখেছিলেন ইমরান। প্রসঙ্গত, এই তোষাখানায় বিদেশি আধিকারিকদের থেকে পাকিস্তানের সরকারি অফিসাররা যে উপহার পান তা রাখা হয়। যদিও এই উপহার নিজেদের কাছে রেখেও দিতে পারেন অফিসাররা। যদিও আগাম দাম নির্ধারণ করে সেই পরিমাণ টাকা মিটিয়ে দিতে হয় তাঁদের। 


২০২২ সালের অক্টোবর মাসে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানায় যে, ইমরান এই উপহার নিয়ে মিথ্যা বিবৃতি ও ভুল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। উপহার বিক্রির তথ্য লুকানোয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক আইনের ধারায় এগনোর জন্য ইসলামাবাদ সেসন কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইসিপি। তোষাখানা মামলায় আদালতে শুনানি এড়িয়েও গেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত সেসন জজ জাফর ইকবাল তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এই পরোয়ানা খারিজের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন ইমরান। যদিও বিচারক তা খারিজ করে দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। 


তোষাখানা মামলায় শুনানি এড়ানোয় পুলিশের দল ইমরানের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিল তাঁকে গ্রেফতার করতে। এরপর রবিবার লাহোর কোর্টের দ্বারস্থ হন ইমরান। গ্রেফতারি পরবর্তী জামিনের জন্য। ওইদিন খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে।


প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বরে জনসমাবেশ খুনের চেষ্টার পরিকল্পনা থেকে কোনও ক্রমে বাঁচার পর, কোনও শুনানিতে হাজির থাকেননি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। ওই হামলার পর ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত তাঁকে অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করে। 


২০২২ সালের এপ্রিল মাসে আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। তিনি অভিযোগ তোলেন, রাশিয়া, চিন ও আফগানিস্তান নিয়ে তাঁর স্বাধীন বিদেশ নীতির জন্য তাঁকে চক্রান্ত করে সরানো হয়েছে। এব্যাপারে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তাতে নেতৃত্ব দিয়েছে আমেরিকা। উল্লেখ্য, ইমরান পাকিস্তানের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে সরে যান।