লাহৌর: প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাওয়া দামি উপহার নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগ। কোষাগার থেকে বহুমূল্য উপহার হস্তগত করার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তিন বছরের সাজা হল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)। শুধু উপহার হস্তগত করাই নয়, কোষাগার থেকে বহুমূল্য জিনিসপত্র তিনি বিক্রি করে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন বলেও অভিযোগ। (Pakistan News)
ইমরানের বিরুদ্ধে যে যে জিনিস হস্তগত করার অভিযোগ উঠছে, তার মধ্যে রয়েছে একটি গ্রাফ হাতঘড়িও, ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ওই উপহার পেয়েছিলেন ইমরান। বর্তমান পাক সরকারের দাবি, ঘড়িটি হস্তগত করে নামমাত্র টাকাই রাজকোষে জমা দেন ইমরান। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঘড়িটি ইমরান উপহার পান বলে জানা গিয়েছে।
ওই সময় একটি রোলেক্স ঘড়িও উপহার পান ইমরান। সেটির দাম ছিল ৪৪ লক্ষ টাকা। কিন্তু রাজকোষে ইমরান তার বিনিময়ে মাত্র ৮৬ হাজার টাকা জমা করেন বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি, একজোড়া কাফলিঙ্ক উপহার পেয়েছিলেন ইমরান, তার মূল্য প্রায় ১৬ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। একটি বহুমূল্য কলম পেয়েছিলেন ইমরান, যার মূল্য ছিল ৪ লক্ষ ৪৪ হাজারের কাছাকাছি। ২১ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের একটি আংটিও ইমরান হস্তগত করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: LIC Policy Surrender: মেয়াদপূর্তির আগেই সারেন্ডার করতে পারেন এলআইসির পলিসি, জেনে নিন সহজ প্রক্রিয়া
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায় যে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একটি নেকলেস উপহার পেয়েছিলেন ইমরান, যার মূল্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত সমস্ত উপহার রাষ্ট্রের ভাঁড়ারে জমা দিতে হয়। কিন্তু ইমরান তা করেননি বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তোষা-খানা অর্থাৎ সরকারি উপহারের ভাঁড়ারে ওই নেকলেসটি জমা দেওয়ার বদলে, সেটি নিজের প্রাক্তন বিশেষ সহকারী জুলফিকর বুখারিকে দিয়ে দেন তিনি। জুলফিকর সেটি লহৌরে ১৮ কোটি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন। সেই টাকা ইমরানের পকেটে ঢোকে বলে অভিযোগ। এছাড়াও বহুমূল্য কানের দুল, ব্রেসলেট, আংটিও হস্তগত করার অভিযোগ রয়েছে ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, পদে থাকাকালীন সব সরকারি আধিকারিককে উপহার হিসেবে পাওয়া সব সামগ্রীর উল্লেখ করতে হয়। সেগুলি বিক্রি করলে, মূল্যের কিছুটা অংশ নিজেও রেখে দিতে পারেন। শুধু তাই নয়, পদে থাকাকালীন চাইলে আসল মূল্যের ৫০ শতাংশ দাম দিয়ে সেই উপহার কিনে নিজেদের কাছে রেখে দেওয়া যায়। উপহারের দাম পাক মুদ্রায় ৩০ হাজার টাকার নিচে হলে, তার জন্য কোনও টাকা দিতে হয় না। কিন্তু ইমরান নামমাত্র টাকা দিয়ে বহুমূল্য সব উপহার হস্তগত করেছেন বলে অভিযোগ।