নয়াদিল্লি: প্রয়াত টি এন শেষনকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে বর্তমান জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ রাহুল গাঁধীর। কমিশনের বর্তমান কাজকর্মের ধরণ, পন্থায় অখুশি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি প্রয়াত মুখ্য নির্বাচন কমিশনের স্থাপন করা ঐতিহ্য স্মরণ করেন। তিনি ট্যুইট করেন, নির্বাচন কমিশনাররা একসময় নিরপেক্ষ, সাহসী, ভীতির কারণ ছিলেন, সম্মানের পাত্র ছিলেন, যা আজকাল দেখা যায় না। শ্রী টি এন শেষন ছিলেন তাঁদেরই একজন। তাঁর প্রয়াণে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। নয়ের দশকে সুদূরপ্রসারী নির্বাচনী সংস্কার ঘটানো, মডেল আচরণবিধি অক্ষরে অক্ষরে কার্যকর করার জন্য চিরস্মরণীয় শেষনের ৮৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী কমিশনকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান করে তোলায় তাঁর ভূমিকা স্মরণ করে বলেছেন, এক পোড়খাওয়া আমলা হিসাবে, যিনি ক্যাবিনেট সচিব পর্যন্ত হয়েছিলেন, শেষনকে সবসময় মনে থাকবে দেশের নির্বাচন কমিশনকে মজবুত ও একাধিক সুদূরপ্রসারী নির্বাচনী সংস্কার বাস্তবায়িত করায়।



প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শেষনকে অসামান্য এক আমলা বলে উল্লেখ করে বলেছেন, নিরঙ্কুশ দক্ষতা, সততার সঙ্গে ভারতের সেবা করেছেন তিনি। তাঁর নির্বাচনী সংস্কারের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপগুলি আমাদের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী, অংশগ্রহণমূলক করেছে। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত। ওম শান্তি।
ডিএমকে সভাপতি স্ট্যালিনও শেষনের প্রয়াণে শোক জানিয়ে বলেছেন, দেশে নির্বাচনী গণতন্ত্রের উজ্জ্বল চেহারা তুলে ধরতে নিরপেক্ষ, সংশয়হীন নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিজের সব ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিলেন তিনি। নিজে কঠোর, সত্, বাস্তবমুখী হিসাবে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছিলেন এবং তাঁর মৃত্যু শুধু ভারত নয়, গণতন্ত্র বাঁচিয়ে রাখায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দলের কাছেই বিরাট ক্ষতি।