নয়াদিল্লি: হাথরস, বলরামপুরের ভয়াবহ নারী নির্যাতনের রেশ থাকতে থাকতেই এবার পাশের বিজেপি -শাসিত রাজ্য মধ্য়প্রদেশের নরসিংহপুর জেলা থেকে এক দলিত মহিলার গণধর্ষিতা হওয়ার পর পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে রাজি না হওয়ার অভিযোগে আত্মঘাতী হওয়ার খবর পাওয়া গেল। মহিলাকে চারদিন আগে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, এব্যাপারে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্তদের একজন আছে।
ঘটনার কথা জানার স্থানীয় পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন, দুজন পদস্থ কর্তাকে সাসপেন্ড করতেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। স্টেশন ইনচার্জকে গ্রেফতার, এএসপি, এসডিওপি-র অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ছুটিতে থাকা পুলিশ সুপারের ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। নরসিংহপুর জেলার গাদরওয়ারা এলাকার ঘটনা সম্পর্কে গত তিনদিনে পুলিশ কোনও অভিযোগই দায়ের করেনি বলে দাবি করেছেন মহিলার পরিবারের লোকজন।
শুক্রবার কর্তব্য়ে গাফিলতির দায়ে সাসপেন্ড হন গোতিতোরিয়া ফাঁড়ির এএসআই মিসরিলাল কোডাপা। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার সম্প্রদায়েরই দুজন অরবিন্দ ও পারসু চৌধুরি ও আরেক অভিযুক্ত অনিল রাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় আজ। অরবিন্দ গ্রেফতার হয়েছে। বাকি দুজনের খোঁজ চলছে। মহিলা মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। যদিও এসডিওপি বলেছেন, মহিলার দুই ভাগ্নী, যারা ঘটনাটি সচক্ষে দেখেছে, বলেছে, অভিযুক্তরা তাঁকে ধরে কটূক্তি করেছে, কিন্তু ধর্ষণ হয়েছে কিনা, নিশ্চিত করতে পারেনি। তারা সবাই চিত্কার করলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় বলে মেয়ে দুটি পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, ঘটনার দিনই মহিলা ও তাঁর মৌখিক অভিযোগ জানান। কিন্তু অভিযোগ পরিষ্কার করে বলতে পারেননি। শুক্রবার নাকি জল তুলতে গেলে লীলাবাঈ নামে এক প্রতিবেশী মহিলাকে কটাক্ষ করেন। তারপরই তিনি বাড়ি গিয়ে গলায় দড়ি দেন। তিনদিন ধরে তাঁরা থানায় মামলা দায়ের করাতে ঘোরাঘুরি করেও কিছু করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন মহিলার স্বামী। লীলাবাঈকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।