নয়াদিল্লি: প্রেমের টানে কতটা পথ পেরোনো যায়? তাও ভিসা ছাড়া? শুনলে অবাক হয়ে যাবেন পাক কিশোরীর (Pak Teenager) কথা। প্রেমিককে (Lover) বিয়ে করতে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে দুবাই (Dubai) হয়ে কাঠমান্ডু (Kathmandu) পৌঁছেছিলেন সে। সেখান থেকেই ভারতে ঢোকে সে। লক্ষ্য ছিল বেঙ্গালুরু (Bengaluru)। প্রেমিকের সঙ্গে থাকছিলও। কিন্তু বিনা ভিসায়। তাকে উদ্ধার করে পাক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে।


কী বলা হয়েছে?
কিশোরীর নাম ইকরা জিভানি। মুলায়ম সিংহ যাদব নামে এক তরুণের সঙ্গে থাকছিল সে। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ওই তরুণ আপাতত জেলে। গত রবিবার ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে তাকে পাক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছে, অনলাইনে আলাপ হয়েছিল দুজনের। পরে দুজনে স্থির করেন, বিয়ে করবেন। সেই মতোই কয়েক মাস আগে নেপাল পৌঁছয় ইকরা। দুবাই যাওয়ার বিমানের টিকিট কিনতে নিজের গয়নাও বেচে দিয়েছিল কিশোরী। কলেজের বন্ধুর থেকে টাকাও ধার নেয়। কাঠমান্ডু পৌঁছনোর পর মুলায়মের সঙ্গে বিয়ে হয় ইকরার। সেখান থেকে বেঙ্গালুরু পৌঁছন দুজন। আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা মুলায়মই ইকরাকে কাঠমান্ডু থেকে বেঙ্গালুরু নিয়ে আসেন। গত সেপ্টেম্বর নাগাদ ঘটনাটি ঘটে।


এখন কী অবস্থা?
ওই কিশোরী পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা। আপাতত বাড়ি ফিরে এসেছে সে। কিশোরীকে ফিরিয়ে আনতে তার বাবা, মা ও মামা লাহৌরে গিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে  কিশোরীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল সংবাদমাধ্যম। কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তার। তবে ইকরার বাবা সোহেল জিভানি বললেন, 'আমরা এখনও বুঝতে পারছি না, ও ভারতে যাওয়ার সাহস কোথা থেকে পেল। বরাবর খুব লাজুক ও অন্তর্মুখী মেয়ে ছিল। বাকিদের মতোই আমরাও হতবাক।' 
গত কয়েক মাসে যা ঘটেছে, তার শক থেকে বেরিয়ে আসা নিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা করছে গোটা পরিবার। জানা যাচ্ছে, মুলায়মের বাড়িতে নাম পরিবর্তন করে থাকছিল ওই কিশোরী। কিন্তু তার জীবনযাত্রা থেকে সন্দেহ হয়েছিল পড়শিদের। পুলিশের কাছে খবর যেতেই তাকে উদ্ধার করে হোমে রাখে প্রশাসন। পরে গোয়েন্দা সূত্রে পুরোটা জানা যায়।  কিন্তু মূল প্রশ্ন অন্যত্র। ১৬ বছরের কিশোরী কী ভাবে করাচি থেকে দুবাই হয়ে কাঠমান্ডু ঘুরে ভারতে এল? পরিবার সূত্রে বলা হচ্ছে, 'ওই ভারতীয় তরুণকে সমীর আনসারি নামে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বলে ভেবেছিল ইকরা। তাঁর প্রেমে পড়েই এত দূরত্ব ও বিপজ্জনক সফরে বেরিয়ে পড়েছিল।' কিশোরীর পরিবারের দাবি, ওই আনসারি আসলে মুলায়ম সিংহ যাদব যিনি এক ২৬ বছর বয়সী নিরাপত্তারক্ষী যাঁর সঙ্গে অনলাইন লুডো খেলতে গিয়ে আলাপ হয় ইকরার।      
তার পর প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা। 


আরও পড়ুন:আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়ার দিনে চাঁদের হাট, দ্বিতীয় দিনে অপেক্ষায় চমকের পর চমক