নয়াদিল্লি: দেশের মধ্যেই প্রথম। চালক ছাড়াই গড়াবে ট্রেনের চাকা। রাজধানী দিল্লির মেট্রোর হাত ধরে প্রথম এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে গোটা দেশ। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দিল্লি মেট্রোর ম্যাজেন্ডা লাইনে স্বয়ংক্রিয় মেট্রো ট্রেন পরিষেবা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে এদিন তিনি বিমানবন্দর এক্সপ্রেস লাইনে ন্যাশনল কমন মোবিলিটি কার্ড তথা এনসিএমসি-এর পরিষেবা চালু করবেন। আজ সকাল ১১টায় এই উদ্বোধন হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর।

দিল্লির জনকপুরী ওয়েস্ট থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে চালকহীন স্বয়ংক্রিয় মেট্রো। বৃহস্পতিবার দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন এই ঘোষণা করেছে। এই নতুন পরিষেবার জেরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে  চালকহীন মেট্রো চলবে। যা একেবারই সুরক্ষিত। আশা করা হচ্ছে,  ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে পিঙ্ক লাইনে চালকবিহীন ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে। মজলিস পার্ক থেকে শিববিহার পর্যন্ত ছুটবে স্বয়ংক্রিয় মেট্রো।

ডিএমআরসি বর্তমানে ৩৯০ কিলোমিটার  মধ্যে ১১ টি করিডোরের ২৮৫ টি স্টেশনের মধ্যে যাত্রীদের মেট্রো সুবিধা সরবরাহ করছে। দিল্লি মেট্রোর দৈনিক যাত্রীসংখ্যা ২৬ লক্ষেরও বেশি। স্বয়ংক্রিয় পরিষেবা চালু হলে দিল্লির মেট্রো রেল কর্পোরেশন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মেট্রো পরিষেবাগুলির মধ্যে চলে আসতে পারে। ডিএমআরসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ন্যাশনল কমন মোবিলিটি কার্ডের বিনিময়ে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বিমানবন্দর এক্সপ্রেস লাইনে যাতায়াত করা যাবে। নয়াদিল্লি থেকে দ্বারকা সেক্টর ২১ স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, ২০২২ সালের মধ্যে দিল্লি মেট্রোর পুরো নেটওয়ার্কে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

দিল্লি মেট্রো এখন পর্যন্ত ভারতের বৃহত্তম মেট্রো এবং দেশের সবচেয়ে পুরনো মেট্রো সার্ভিসগুলির মধ্যে দ্বিতীয়। করোনা আবহে একাধিক বিধি আরোপ করেছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন। কোভিড পরিস্থিতিতে সুরক্ষার জন্য নগদহীন পদ্ধতি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া যাত্রীদের। টোকেন বিক্রির অনুমোদন দেয়নি কর্তৃপক্ষ।