প্রকাশ সিনহা, বীরভূম: বীরভূমে ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলকে আয়করের নোটিস। অনুব্রত মণ্ডলের চারজন আত্মীয়কেও নোটিস দেওয়া হয়েছে। চাওয়া হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির তথ্য। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, গত মাসে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নিজের ও আত্মীয়দের নামে বেনামী সম্পত্তি বানানোর অভিযোগ জমা পড়ে। এরপরেই আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আয়কর দফতর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, দু'দিন আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। গত মাসে অভিযোগ জমা পড়ে, পুরুলিয়া, বীরভূম ও বাঁকুড়া এলাকায় নিজের ও পরিবারের আত্মীয়দের নামে বেনামি সম্পত্তি বানিয়ে রেখেছেন অনুব্রত মণ্ডল। যে অভিযোগ পেয়েই প্রাথমিকভাবে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেন।
যার পরে ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্টের ১৩১ নম্বর ধারায় তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতির কাছ থেকে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, আইটি রিটার্ন, ব্যাঙ্কের যাবতীয় ডিটেলস ও কোথায় কোথায় তাদের কত সম্পত্তি রয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত তথ্য অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের জমা করতে হবে।
এদিকে, আইকোর মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা মদন মিত্রর ছেলে স্বরূপ মিত্রর। ইডি সূত্রে খবর, আইকোর চিটফাণ্ড মামলায় স্বরূপ মিত্রকে তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে ইডি দফতরে যেতে বলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ীই স্বরূপ মিত্র ইডি দফতরে গিয়ে পৌঁছন। ইডি আধিকারিকদের দাবি, আইকোর চিটফাণ্ড মামলার তদন্তে নেমে তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন আইকোর সংস্থার সঙ্গে স্বরূপ মিত্রর আর্থিক লেনদেন হয়েছিল।
কেন তিনি আইকোর সংস্থার থেকে টাকা নিয়েছিলেন, কী চুক্তি হয়েছিল তাদের মধ্যে এবং তিনি কোনও পরিষেবা প্রদান করেছিলেন কি না, এই সমস্ত তথ্য জানার জন্যই ইডির তরফে স্বরূপ মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে।