কলকাতা : রাজ্য থেকে দেশ, চলছে করোনার সংক্রমণের সুনামি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। এই অবস্থায় মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে পড়ার আশঙ্কা সমূহ। সতর্ক থাকা, যাবতীয় কোভিডবিধি মেনে চলার পরও ধেয়ে আসতে পারে সংক্রমণ। তাই চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, সামান্যতম কোনও উপসর্গ থাকলে দেরী না করে দ্রুত আরটিপিসিআর টেস্ট করিয়ে নিতে। হালকা জ্বর, শুকনো কাশি, গা-হাত-পা বা গলায় ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গ থাকলেই দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই স্রেয়। আর রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত প্রয়োজন আইসোলেশন।
যদি কোনওভাবে আপনারও কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাহলে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। হোম আইসোলেশনে থেকে নিয়মিত বিভিন্ন নিয়ম মেনে চললেই ৮৫ শতাংশ কোভিড আক্রান্ত সেরে ওঠেন। তবে কোনওভাবে যদি রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাহলে হোম আইসোলেশনে থাকার সময় ঠিক কী কী করতে হবে আপনাকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক-এইমস ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশিকাগুলিতে যে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বলা রয়েছে।
হোম আইসোলেশনের যে অবশ্য পালনীয় নিয়মগুলো বলা হয়েছে, সেগুলো হল-
বাড়িতে আলাদা ঘরে থাকতে হবে। ব্যবহার করতে হবে আলাদা বাথরুম। পরিবারের সবার থেকে বিচ্ছিন্ন না থাকতে পারলে তারাও সংক্রমিত হয়ে পড়বেন।
চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। প্রয়োজনে নিতে পারেন টেলি-মেডিসিনের সাহায্য নিন।
প্রয়োজনে সব-সময় কেউ সাহায্য় করবে এমন কারোর থাকা একান্ত প্রয়োজন। (দেখভাল করার লোকের অভাব থাকলে সেফ হোমে স্থানান্তরিত হওয়াই স্রেয়)
নিয়মিত ব্যবধানে শরীরের তাপমাত্রা ও অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে হবে। প্রত্যেক ছয় ঘণ্টা অন্তর তাপমাত্রা ও অক্সিজেনের মাত্রা কোথাও নথিবব্ধ করে রেখে পরে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনায় উল্লেখ। তাদের পরামর্শ মতো ওষুধ খান।
উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর ১৭ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ আসার দিন থেকে ধরলে নূন্যতম ১০ দিন।
(হোম আইসোলেশন পর্ব নিয়মমাফিক সম্পূর্ণ করলে সেক্ষেত্রে ফের নতুন করে করোনা টেস্ট করার প্রয়োজন নেই।)