নয়া দিল্লি : বিশ্বমঞ্চে তাঁরা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের এহেন ৩২ জন অলিম্পিক্স পদকজয়ী যোগ দিলেন লাল কেল্লার বিশেষ অনুষ্ঠানে। সেই তালিকায় রয়েছেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে অলিম্পিক্সে দেশের হয়ে প্রথম সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া থেকে শুরু করে পিভি সিন্ধু, মীরাবাঈ চানু-রা। এর সঙ্গে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার দুই আধিকারিকও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


রবিবার লাল কেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পর জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দেওয়া শুরু করেন। প্রদানমন্ত্রীর জাতীয় পতাকা উত্তোলের আগে নীরজ চোপড়া বলেন, এটা আমার কাছে একটা নতুন অভিজ্ঞতা। কারণ, এতদিন এই অনুষ্ঠান টিভিতে দেখতাম। এখন ব্যক্তিগতভাবে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। আমরা দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনার পদক জিতিনি। আমার ভাল লাগছে এটা ভেবে যে, গোটা দেশ আজ আমার জন্য গর্বিত।


প্রায় ২৪০ জন অলিম্পিক্স প্রতিযোগী, সাপোর্ট স্টাফ, সাই ও স্পোর্টস ফেডারেশনের আধিকারিকদেরও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সম্প্রতি শেষ হওয়া টোকিও অলিম্পিক্সেই দেশের হয়ে সবথেকে বেশি পদকজয় করেছেন অ্যাথলিটরা। সর্বমোট ৭টি পদক এসেছে ভারতে। তার মধ্যে একটি সোনা, দুটি রুপো ও চারটি ব্রোঞ্জ রয়েছে। 


এর আগে শনিবার দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের কালচারাল সেন্টারে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে যোগদানকারী ভারতীয় প্রতিনিধিদল 'হাই টি'-তে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের উপ রাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডুও। 


রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের নাম উজ্জ্বল করায় তাঁদের জন্য গর্বিত গোটা দেশ। এপর্যন্ত অলিম্পিক্সে যোগদানকারী প্রতিনিধিদলের মধ্যে এই দল সবথেকে বেশি পদক এনেছে। তাঁদের সাফল্য যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করেছে। যাতে তারা খেলাধূলায় অংশ নেয়। বাবা-মায়েদের মধ্য়েও খেলাধূলা নিয়ে একটা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা তৈরি হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের পারফরম্যান্স ছিল অনবদ্য। শুধুমাত্র সাফল্যের নিরিখে নয়, শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও।