ঢাকা: ভারতে বেআইনিভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর নানা মহলের বিক্ষোভ, প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে অশান্তির কালো মেঘ ঘনিয়েছে। বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে একাধিক স্থানে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে এই আইনের সম্ভাব্য প্রভাব, প্রতিক্রিয়া নিয়ে জল্পনার মধ্যেই প্রতিবেশী দেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, তাঁর দেশ ভারতকে, সেদেশে অবৈধ ভাবে বসবাস করা বাংলাদেশিরা থাকলে, তাদের তালিকা দিতে বলেছে, তাদের দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে। কেননা ওদের নিজেদের দেশে ঢোকার অধিকার আছে।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে, তা ‘খুবই মিষ্টি’ বলে মন্তব্য করে তার কোনও ক্ষতি হবে না বলেও জানিয়েছেন মোমেন। তিনি বলেছেন, ভারত এনআরসি সংক্রান্ত প্রক্রিয়াকে তার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে জানিয়েছে, তাদের কোনও ক্ষতি হবে না, এই মর্মে ঢাকাকে আশ্বাসও দিয়েছে। ভারত ‘পুশব্যাক’ অর্থাত বেআইনি বাংলাদেশিদের সীমান্ত পেরিয়ে ফেরত পাঠাবে, এহেন জল্পনা উড়িয়ে মোমেন দাবি করেন, কিছু ভারতীয় নাগরিক অর্থনৈতিক কারণে বেআইনি ভাবে দালাল মারফত বাংলাদেশে ঢুকছে। কিন্তু আমাদের নিজেদের লোক ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে ঢুকলেই তাদের ফেরত পাঠাব আমরা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর মোমেন পূর্বনির্ধারিত ভারত সফর শেষ মূহূর্তে বাতিল করায় কূটনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল, বিতর্কিত আইনটি ভারতের সংসদে গৃহীত হওয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতেই তিনি ও বাংলাদেশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ভারত সফর স্থগিত রাখছেন। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যকে ‘অসত্য’ বলার পরদিনই ভারত সফর বাতিল করেন মোমেন। কেন এই পদক্ষেপ, কারণ ব্যাখ্যা করে মোমেন জানান, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস কর্মসূচি পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক বিষয়সংক্রান্ত প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও মন্ত্রকের সচিব দেশে না থাকায় তিনি সফর স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছেন।