লকডাউন পর্ব থেকে বেরিয়ে এসে যখন আনলক ১ এ দেশ পা রেখেছে, বিধিনিষেধের কড়াকড়ি শিথিল হচ্ছে, তখন সাধারণ মানুষকে আরও শৃঙ্খলাপরায়ণ থাকা, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার যথাযথ অভ্য়াস রপ্ত করা, ফেস কভার ব্যবহার ও হ্যান্ড হাইজিন মেনে চলা ও নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন হর্ষবর্ধন। দেশের মানুষকে আরোগ্য সেতু ডাউনলোড করার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই অ্যাপ কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি নির্ণয়ে, সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করবে।
আজকের দিন পর্যন্ত ১২.৫৫ কোটির বেশি নাগরিক অ্যাপটি ডাউনলোড করেছে বলে মন্ত্রক জানিয়েছে।
এদিকে একে একে সব সরকারি দপ্তর খুলছে। বর্ধন সব বিভাগের প্রধানকে আবেদন করেছেন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড হাইজিন ও মাস্ক বা মুখ ঢাকার কভার নিয়মবিধি কঠোর ভাবে অনুসরণের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ‘সামাজিক ভ্যাকসিন’ এর কথা যেন আমরা বিস্মৃত না হই।
মন্ত্রিগোষ্ঠীকে জানানো হয়, ৯ জুন পর্যন্ত দেশে কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো জোরদার করা হয়েছে। নির্ধারিত ৯৫৮টি কোভিড হাসপাতালে ১৬৭৮৮৩টি আইসোলেশন বেড, ২১৬১৪টি আইসিইউ , ৭৩৪৬৯টি অক্সিজেনের বন্দোবস্তসম্পন্ন বেড রয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৪৭৮৫ জন সহ দেশে এপর্যন্ত মোট ১,২৯, ২১৪ জন করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন। ফলে দেশে সার্বিক সুস্থ হয়ে ওঠার হার দাঁড়িয়েছে ৪৮.৪৭ শতাংশ।