India Population:  ২০২৩ সালের সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুসারে প্রথমবারের মত ভারতের জন্ম ও মৃত্যুহার আজ থেকে ৫০ বছর আগের সময়ের তুলনায় অর্ধেক হারে কমে গিয়েছে। আর এই তথ্য সারা দেশে স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা, সামাজিক কল্যাণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী উন্নতির লক্ষণ। স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের নমুনা নিবন্ধন অনুসারে গত কয়েক দশক ধরেই ভারতে মৃত্যু, বিশেষত শিশুমৃত্যুর হার ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।

কমেছে জন্মহারও

জন্মহার অর্থাৎ প্রতি ১০০০ জনে নতুন শিশু জন্মের পরিসংখ্যান ২০১৩ সালে ছিল ২১.৪ যা ২০২৩ সালে এসে কমে হয়েছে ১৮.৪। দশ বছরে জন্মহার কমে গিয়েছে ভারতে। তথ্য অনুসারে গত ৫ দশকে অর্থাৎ ৫০ বছরে সর্বভারতীয় স্তরে জন্মহার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ১৯৭১ সালে যে জন্মহার ছিল ৩৬.৯ তা ২০২৩ সালে ১৮.৪-এ নেমে এসেছে।

এই জন্মহার প্রতি বছর মোট জনসংখ্যার নিরিখে জীবিত জন্মগ্রহণকারী নতুন শিশুর সংখ্যা নির্ধারণ করে আর তা মূলত দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সূচক। তথ্য অনুসারে গ্রামীণ এলাকায় যেখানে জন্মহার বহুকাল ধরেই বেশি ছিল, সেখানে একই সময়ের মধ্যে এই হার ২২.৯ থেকে কমে হয়েছে ২০.৩। আর অন্যদিকে শহরাঞ্চলে এই জন্মহার গত ৫০ বছরে ১৭.৩ থেকে কমে হয়েছে ১৪.৯। তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে সারা দেশের জন্মহার। এই পরিসংখ্যানে আঞ্চলিক বৈষম্যও তুলে ধরা হয়েছে। ২০২৩ সালে বিহারে সর্বোচ্চ জন্মহার ছিল ২৫.৮ আর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঐ সময় জন্মহার ছিল সর্বনিম্ন ১০.১।

মৃত্যুহার কমেছে

মৃত্যুহারও নিম্নমুখী ক্রমশ। ২০১৩ সালে এই মৃত্যুহার ছিল দেশে ৭.০ যা ২০২৩ সালে এসে কমে হয়েছে ৬.৪। প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে প্রত্যেক বছর মৃত ব্যক্তিদের সংখ্যা নির্ধারণ করে এই মৃত্যুহার। আর এই সূচক দেশের মানুষের সামগ্রিক আয়ুষ্কাল, স্বাস্থ্যগত অবস্থার ধারণা দেয়। গামীণ এলাকায় মৃত্যুহার যেখানে ৬.৮, সেখানে শহরাঞ্চলে মৃত্যুহার ৫.৭। রাজ্যগুলির মধ্যেও মৃত্যুহারে বৈষম্য রয়েছে। ছত্তিশগড়ে এই সময়কালে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৩, আর চণ্ডীগড়ে সর্বনিম্ন মৃত্যুহার ৪.০।

ইনফ্যান্ট মর্টালিটি রেট বা শিশু মৃত্যুর হারও ভারতে এই কয়েক দশকে ক্রমশ নিম্নমুখী হয়েছে। ২০১৩ সালে যেখানে প্রতি ১০০০ জনে ৪০ টি শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটত সেখানে ২০২৩ সালে এই সংখ্যা নেমে এসেছে ২৫টিতে। ৩৭.৫ শতাংশ কমে গিয়েছে শিশুমৃত্যুর হার।