নয়াদিল্লি: বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের হাত ধরে বিশ্বের উচ্চতম রাস্তা গড়ল ভারত। লাদাখে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯,৩০০ ফুট উচ্চতায় গড়ে তোলা হয়েছে এই রাস্তা। অতীতে বলিভিয়ার ঝুলিতে ছিল এই রেকর্ড।


উমলিংলা পাসের কাছে এই রাস্তা এখন বিশ্বের কাছে অন্যতম নজির। সংখ্যাতত্ত্ব বলছে, এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের থেকেও বেশি উচ্চতায় তৈরি হয়েছে রাস্তা। নেপালে এভারেস্টের দক্ষিণ বেসক্যাম্প সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,৫৯৮ ফুট উঁচুতে রয়েছে। তাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে উমলিংলার রাস্তার উচ্চতা। এখানেই শেষ নয়। তিব্বতে এভারেস্টের উত্তর বেসক্যাম্প রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬,৯০০ ফুট উচ্চতায়। তার থেকেও অনেক ওপরে তৈরি হয়েছে নতুন রাস্তা। 


সাধারণভাবে কোনও বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০,০০০ ফুট বা তার বেশি উচ্চতায় যাতায়াত করে। এই বিমানপথের অর্ধেকের বেশি উচ্চতায় তৈরি হয়েছে উমলিংলার রাস্তা। ইতিমধ্যেই বিশ্বের উচ্চতম রাস্তা নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে সরকার। সেখানে বলিভিয়ার রাস্তার উল্লেখ করা হয়েছে। অতীতে বিশ্বের উচ্চতম রাস্তার রেকর্ড ছিল বলিভিয়ার কাছে। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১৮,৯৫৩ ফুট উঁচুতে রাস্তা গড়েছিল সে দেশের সরকার।


সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, উমলিংলা পাসে বিশ্বের উচ্চতম রাস্তার ফলে উপকৃত হবে লাদাখবাসী। এই রাস্তা এলাকায় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হবে। যাকে কেন্দ্র করে পর্যটকরা ভিড় জমাবে এলাকায়। ফলে স্থানীয়দের সামাজিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বদলাবে।


লাদাখের ভৌগলিক অবস্থান বলছে, খুব একটা সহজসাধ্য কাজ ছিল না বিশ্বের উচ্চতম রাস্তা গড়া। কাজ করতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়েছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনকে। শীতকালে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পৌঁছে যায় লাদাখের এই অঞ্চল। সবথেকে সমস্যা সৃষ্টি হয় অক্সিজেনকে ঘিরে। সাধারণত সমতলের থেকে ৫০ শতাংশ কম অক্সিজেন থাকে এইসব এলাকায়। যা পরিশ্রমের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে। ৫২ কিলোমিটার লম্বা রাস্তা টারম্যাক মেটিরিয়াল দিয়ে তৈরি হয়েছে। 


নতুন এই রাস্তার ফলে পূর্ব লাদাখের চুমর সেক্টরে অনেক শহরের যোগাযোগ বৃদ্ধি হবে। তবে এই প্রথমবার উঁচু রাস্তা গড়া হয়নি লাদাখে। এখানেই রয়েছে খারদুংলা পাসের মতো জায়গা। যেখানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,৬০০ ফুট উচ্চতায় রাস্তা গড়া হয়েছে। বিশ্বের উচ্চতম রাস্তার মধ্যে নাম রয়েছে খারদুংলা পাসের রাস্তার।