অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: পাঁচ দিনের মধ্যে ফিরল একই ছবি। শুক্রবারের পর বুধবারও পাতিপুকুর আন্ডারপাসে ডুবল বেসরকারি বাস। কোনওমতে, বাস থেকে নেমে জল ঠেলে বেরিয়ে আসেন যাত্রীরা।
গত শুক্রবারও একইভাবে পাতিপুকুর আন্ডারপাসে ডুবে যায় বাস। লেকটাউন থেকে শ্যামবাজার যাওয়ার পথে পাতিপুকুর আন্ডারপাসে '৪৭বি' রুটের বাসের ভিতর জল ঢুকে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। কোনওমতে বাস থেকে নেমে জল ঠেলে তাঁরা রাস্তায় ওঠেন। এদিনও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
গত সপ্তাহে নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল শহর কলকাতা একাধিক জায়গায় সেই রেস কাটতে না কাটতেই আজ প্রায় ঘণ্টা কয়েকের বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে শহর কলকাতা।
বুধবার সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি, কোথাও ভারী মুষলধারে। সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে উত্তর কলকাতায়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত কোথাও কোথাও প্রায় ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বেশি বৃষ্টি হয়েছে পামারবাজারে। বেশি বৃষ্টি হয়েছে মানিকতলা, ঠনঠনিয়া ও দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ-সহ বহু জায়গায়। জল জমে যায় পূর্ব যাদবপুর থানার সামনের রাস্তাতেও।
আর, ঘণ্টা কয়েকের বৃষ্টিতেই ফিরেছে কলকাতার জল ছবিটা। জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলেজ স্ট্রিট। কলেজ স্কোয়ারের সুইমিং পুল উঠে আসে কলেজস্ট্রিটে। উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিট, রাজা রামমোহন সরণী, থেকে দক্ষিণ কলকাতার মুকুন্দপুর জলমগ্ন হয়। জল জমেছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ, করণাময়ী, নিউ টাউন, এফডি পার্ক-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়।
রাস্তায় জল জমার কারণে প্রভাব পড়েছে যান চলাচলেও। হাটু সমান জল ফলে ধীরগতিতে চলছে গাড়ি যানজটের সৃষ্টি হয় সেক্টর ফাইভ সল্টলেক নিউটাউন এর একাধিক রাস্তায়।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এর পাশাপাশি, মৌসুমী অক্ষরেখা শ্রীনিকেতন থেকে ডায়মন্ড হারবারের উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দুইয়ের প্রভাবে শুক্রবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি চলবে।
আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান-সহ হাওড়া ও হুগলিতে। বৃষ্টির ফলে নদীর জলস্তর বাড়তে পারে। তার জেরে নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।