নয়াদিল্লি: কানাডায় এবার খুন হলেন মাফিয় সুখদুল সিংহ ওরফে সুখা দুনেকে। সে দেশে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুখা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কানাডা নিবাসী মাফিয়া অর্শদীপ সিংহ ওরফে অর্শ দালার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন সুখা। পঞ্জাবের মোগার দবিন্দর বামবিহা গ্যাংয়ের সদস্য ছিলেন তিনি। (India-Canada Relations)


কানাডার উইনিপেগে সুখার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কী ঘটেছে, এখনও স্পষ্ট নয়। গত ১৯ জুন সারি-তে খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরও একই রকম গোষ্ঠী সংঘর্ষে নিহত হন বলে সামনে আসে। হরদীপের শরীরে ১৫টি গুলি লেগেছিল। জাল নথিপত্র বানিয়ে ২০১৭ সালে পঞ্জাব থেকে পালিয়ে যান সুখা। সংঘাতের আবহে বুধবার যে 'ওয়ান্টেড' তালিকা প্রকাশ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাতেও নাম ছিল সুখার। (India Canada Tensions)


NIA তালিকায় আরও যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন-


১) অর্শদীপ সিংহ


২) চরণজিৎ সিংহ


৩) গুপিন্দর সিংহ


৪) লখবীর সিংহ


৫)রমনদীপ সিংহ


৬) সৎবীর সিংহ,


৭) স্নোভার ধিলোঁ


৮) সুখদুল সিংহ


আমেরিকায় রয়েছেন-


১)অমৃতবল


২) আনমোল বিষ্ণোই


৩) দরমনজিৎ সিংহ


৪) গৌরব পাটিয়াল


৫) গুরজন্ত সিংহ


৬) হরজোত সিংহ


৭)কর্ণবীর সিংহ


৮) রাকেশকুমার


৯) রশপাল সিংহ


১০)সত্যেন্দ্রজিৎ সিংহ


অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন-


১) গুরজন্ত সিংহ


পাকিস্তানে রয়েছেন-


১) হরবিন্দর সিংহ সাঁধু


মালয়েশিয়ায় রয়েছেন-


১) জ্যাকপাল সিংহ


হরদীপের  মৃত্যু নিয়ে ভারত-কানাডার মধ্যে তীব্র টানাপোড়েন চলছে এই মুহূর্তে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা 'র' কানাডার মাটিতে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের এই কার্যকলাপে কানাডার সার্বভৌমিকতা এবং নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 


আরও পড়ুন: India-Canada Relations: নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, নাগরিকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা, নির্দেশিকা জারি করল ভারত-কানাডা


এর পাল্টা, ভারতের তরফে কানাডার বিরুদ্ধে ভারত-বিরোধী কাজকর্মে মদত জোগানো থেকে খালিস্তানি জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। কানাডা সরকার ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। দিল্লির তরফেও কানাডীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। হরদীপের মৃত্যুতে সংযোগের কথা অস্বীকার করে দিয়েছে দিল্লি। কানাডার অভিযোগককে 'অযৌক্তিক' এবং 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে উল্লেখ করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।


দিল্লির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পঞ্জাব থেকে পালিয়ে কানাডায় আশ্রয় নেওয়া মাফিয়ার সংখ্যা প্রায় ৩০। ভারতে গ্রেফতারি এড়াতেই কানাডায় পাড়ি দিয়েছেন সকলে। ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে কেউ দেশ ছেড়েছেন, কেউ আবার জাল নথি তৈরি করে, নেপাল হয়ে পালিয়েছেন।