নয়াদিল্লি: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-চিন যে দ্বন্দ্ব চলছে তা মেটাতে সামরিক ও কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে ভারত ও চিন। এক বিবৃতিতে জানাল বিদেশ মন্ত্রক। যদিও লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, দু’পক্ষের সেনা আধিকারিক স্তরের বৈঠকে তার সমাধান মেলেনি বলে খবর।


বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, দুই দেশ একমত হয়েছে, সমস্যা দ্রুত মিটে গেলে দিল্লি-বেজিং সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে। লে এলাকার ১৪ কর্পসের কম্যান্ডার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিংহ ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন, চিনাদের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল লিউ লিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার চিনা আওতাভুক্ত এলাকায় মল্ডোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে তাঁদের বৈঠক। মে মাসের শুরুতে লাদাখে ঝামেলা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম মুখোমুখি আলোচনায় বসল দুই দেশ। বেলা সাড়ে এগারোটায় বৈঠক শুরু হয়, গড়ায় সন্ধে পর্যন্ত। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এত আলোচনাতেও কোনও সমাধানসূত্র বার হয়নি।

বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, সৌহার্দ্যপূর্ণ ইতিবাচক পরিস্থিতিতে দুপক্ষের আলোচনা চলেছে। কথা হয়েছে, সমস্যা মেটানো হবে কথার মাধ্যমে, শান্তিপূর্ণভাবে, যে সব শান্তি চুক্তি দুতরফের মধ্যে আছে, তা মেনে। ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের এটা ৭০তম বছর, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে কূটনৈতিক ও সামরিকভাবে দুপক্ষ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান খুঁজেছে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেছেন, এই সঙ্কট মিটতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা সেনার কাজকর্মে ভারতীয় সেনা কোনওরকম ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে না, উল্টে চিনা সেনাই ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার স্থিতাবস্থার কোনওরকম পরিবর্তন তারা মানবে না, শক্তি ও সংযম দিয়ে বর্তমান সঙ্কটের সমাধান খোঁজা হবে।