নয়া দিল্লি : তাওয়াঙে ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধী দলগুলি। এই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, সীমান্ত ইস্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের নীতির জন্যই চিন ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠছে। লোকসভা ও রাজ্যসভায় আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতি দাবি করে রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছে তৃণমূলও। এই পরিস্থিতিতে সংসদের দু'কক্ষে বিবৃতি দেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ ।
সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙ সেক্টরে গত ৯ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের সংঘর্ষে চিনা বাহিনীকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। সংঘর্ষে ভারতীয় জওয়ানদের থেকে চিনা জওয়ানদের জখম হওয়ার সংখ্যা বেশি। ওই সূত্রের আরও দাবি, চিনারা প্রায় ৩০০ সেনা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তৈরি ছিল ভারতীয় সেনাও। তবে ৯ ডিসেম্বর চিনা সেনা এবং ভারতীয় সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষের পরপরই সেখান থেকে দুই দেশের বাহিনী সরে যায়। ফলে সংঘর্ষ আর বেশি দূর এগোয়নি। এই প্রেক্ষাপটে সংঘর্ষ নিয়ে রণদীপ সিং সূরযেওয়াল, মণীশ তিওয়ারি, মনোজ কুমার ঝা, প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, রাজনীত রঞ্জন, এল হনুমানথাইয়া, জাবি মাথের-র মতো সাংসদরা আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। এই সাংসদরা জিরো আওয়ার, প্রশ্নোত্তর পর্ব সাসপেনসনের দাবি জানিয়েছেন।
বিরোধীদের চাপের মুখে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরাও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, উভয় পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ে খবর নেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই মর্মে আজ দুপুর ১২টা নাগাদ লোকসভায় বিবৃতি জারি করবেন তিনি। রাজ্যসভায় দুপুর ২টো নাগাদ।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালে ১৫ জুন গালওয়ানেও ঠিক একইভাবে চিনা সেনা ও ভারতীয় বাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গালওয়ানে সংঘর্ষের জেরেও ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। যার জেরে ভারত, চিন, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পারদ চড়তে শুরু করে।
সূত্রের খবর, ২০২১ সালে অক্টোবর মাসেও একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল বহু সংখ্যক চিনা সেনা। সেই সময়ও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। তবে সেবার এত মারাত্মক আকার নেয়নি সংঘর্ষ। এবার দু’পক্ষের মধ্য়ে জোরদার সংঘর্ষ বাঁধে বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন ; ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে আজ সংসদে বিবৃতি জারি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর