নয়াদিল্লি: গত সপ্তাহের সোমবারের রাতের সংঘর্ষে তাদের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বাহিনীর জওয়ানরাও যে প্রাণ হারিয়েছে, শেষ পর্যন্ত স্বীকার করল চিন। ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে প্রবল সংঘর্ষে তাদের কতজন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, তা সরকারি ভাবে জানায়নি চিন। যদিও নানা বেসরকারি সূত্রে প্রায় ৪৫ জন চিনা জওয়ানের মারা যাওয়ার খবর বেরিয়েছে। ভারত সরকারি ভাবেই এক কর্নেল সমেত ২০ জওয়ানের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে।
আজ একগুচ্ছ ট্য়ুইটে চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া গ্লোবাল টাইমস নিজেদের বাহিনীর জওয়ানের প্রাণহানির খবর স্বীকার করে অবশ্য বলেছে, ভারতীয় সেনাকর্তারা চিন ভারতের চেয়ে বেশি জওয়ান হারিয়েছে বলে ঘোষণা করে ভুল সংখ্যা দিচ্ছেন স্রেফ দেশের জাতীয়তাবাদী, কট্টরপন্থীদের খুশি করতে। চিন যে নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি, তার কারণটা হল, সে সংঘাত, বিরোধ বৃদ্ধি এড়াতে চায়। চিন যদি সংখ্য়াটা প্রকাশ করে, যা ২০-র কম, তবে ভারত সরকার আবার বিপাকে পড়বে।


সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিংহ দাবি করেন, আমরা গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে ২০ জন জওয়ানকে হারিয়ে থাকলে চিনের তরফে তার দ্বিগুণের বেশি অর্থাত্ ৪০ এর ওপর জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বাহিনী সরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা ফের শুরু করতে আজ চুসুলে চিনের অংশে মলডো এলাকায় ভারত ও চিনের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ে এক বৈঠক হয়। সেখানে এক চিনা কম্যান্ডিং অফিসারের মৃত্যুর কথা মেনে নেওয়া হয়েছে। গালওয়ান নদীর কাছে হিমালয়ে ১৫ হাজার ফুট উঁচুতে ভারত, চিনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে ৪৫জন চিনা সেনা হতাহত হয়েছে বলে দাবি করা হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে। যদিও চিন সরকারি ভাবে কিছুই জানায়নি।
সেদিন কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবু নামে এক সেনা অফিসার কর্তব্য পালন করতে গিয়ে চিনা হামলায় নিহত হন। ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ান জখম হন। যদিও আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তাঁরা ফের কাজে যোগ দিতে পারেন বলে সেনা সূত্রে খবর। প্রবল শোরগোল ছড়ানোর পর উত্তেজনা প্রশমনে গালওয়ানে ভারত, চিন সেনাকর্তারা আলোচনায় বসেছেন। দুতরফের অফিসারদের বৈঠকে দর কষাকষির পর চিন আটকে রাখা ১০ জন ভারতীয় জওয়ানকে ছেড়ে দেয়।