India-China trade: পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনা নিয়ে চিন্তায় ছিল বাণিজ্য মহল। বার বার দুই দেশের আলোচনা সত্ত্বেও পুরো শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। যদিও এই উত্তেজনার প্রভাব পড়ল না ভারতে-চিন বাণিজ্যে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে রেকর্ড ১২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য।


তবে এই খবরের পাশাপাশি এসেছে দেশের বাণিজ্য নিয়ে আরও একটি বড় খবর। যেখানে বলা হয়েছে, শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে চিন ও ভারতের মধ্যে মোট বাণিজ্য ১২৫.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ২০২০ থেকে ৪৩.৩ শতাংশ বেশি। এই তথ্য প্রকাশ করেছে চিনের গ্লোবাল টাইমস। কাস্টমসের সাধারণ প্রশাসনের তথ্য উদ্ধৃত করে এই রিপোর্ট করা হয়েছে।জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে চিনের রপ্তানি ৪৬.২ শতাংশ বেড়ে USD ৯৭.৫২ বিলিয়ন হয়েছে। যেখানে চিনে ভারতের রফতানি ৩৪.২শতাংশ বেড়ে USD ২৮.১৪ বিলিয়ন হয়েছে।


রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ৬৯.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। সাউথ ব্লকে কান পাতলে শোনা যাবে, দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চিনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ তুলে ধরেছে নয়াদিল্লি। বেজিংকে ভারতের আইটি ও ওষুধের কোম্পানিগুলির জন্য 'দরজা খুলতে' বলেছে ভারতে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই বছর ভারতে চিনের রফতানি বৃদ্ধির মূল কারণ কোভিড ভাইরাস। ভারতের ক্রমবর্ধমান ওষুধ শিল্পের জন্য মেডিক্যাল প্রোডাক্ট ও কাঁচামাল পাঠিয়েছে চিন। দেশে কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভে চিন থেকে অনেক বেশি পণ্য আমদানি করতে হয়েছে ভারতকে। তারই ফলস্বরূপ এই বাণিজ্য বৃদ্ধি।


দেশের সীমান্তের মানচিত্র বলছে, গত ৫ মে প্যাংগং হ্রদ এলাকায় হিংসাত্মক সংঘর্ষের পর বদলে যায় ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক পরিস্থিতি। এরপর থেকেই ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। দুই দেশই সীমান্তে হাজার হাজার সেনার পাশাপাশি ভারী অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করেছে। প্রতিনিয়ত নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির ওপর।