নয়াদিল্লি: ফের প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুও ৫০০ ছুঁইছুঁই। একদিনে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে দেড় হাজারেরও বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ১৯৫ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৯০ জনের। 


দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৬৯ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭০৬।  অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯৮৭।  করোনাকে জয় করে ৩৯ হাজার ৬৯ জন গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ১২ লক্ষ ৬০ হাজার ৫০ জন।


এদিকে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার আবহেই বাংলায় এবার ডেল্টা প্লাস আতঙ্ক। এবার মারণ ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট থাবা বসালো পশ্চিমবঙ্গে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রথমবার এরাজ্যে নতুন মিউটেশনের খোঁজ মিলেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, যে মিউটেশনগুলো থাকলে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট বলে চিহ্নিত করা হয়, তার মধ্যে নতুন একটি মিউটেশনের সম্প্রতি সংযোজন করেছে কেন্দ্র। বাংলায় ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে নতুন সংযোজিত মিউটেশনের খোঁজ মিলেছে। অন্যান্য রাজ্যে ডেল্টা প্লাস ভাইরাসে যে মিউটেশন ছিল, এরাজ্যে ভাইরাসের মিউটেশন তার থেকে কিছুটা আলাদা। 


অন্যদিকে, বুধবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ জন। অগাস্টের ৮ তারিখেও এই প্রজাতিতে সংক্রমণ ছিল ৪৫। তিন দিনের মধ্যেই আক্রান্তে অনেকটাই লাফ দিয়ে বৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে সাতটি মুম্বই, তিনটি পুনে এবং বাকি ছ'টি অন্যান্য জেলা থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে। ডেল্টা প্লাস সংক্রমণের মোট কেসের মধ্যে জলগাঁও জেলায় সর্বোচ্চ ১৩টি রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরে রত্নগিরিতে রয়েছে ১২টি এবং মুম্বইয়ে ১১টি। রাজ্যের ৬৫টি ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্তের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ, ৩৩ জন মহিলা এবং সাত জন ১৮ বছরের কম বয়সী রয়েছে। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানান হয়েছে, "জেনেটিক সিকোয়েন্সিং টেস্ট করে দেখা গিয়েছে যে রাজ্যের ৮০ শতাংশেরও বেশি নমুনায় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৬৫টি নমুনা ডেল্টা প্লাস পরীক্ষায় পজিটিভ রেজাল্ট দিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ডেল্টা প্লাস হালকা থেকে মাঝারি অসুস্থতা নিয়ে এসেছে।