নয়াদিল্লি: দেশে ১০০ কোটির টিকাকরণের উৎসব শেষ হতেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা-গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৫০০-র বেশি। তবে কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৬১ জনের। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৯০৬।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৬৯ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৬৮। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৯৪।
এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬০৫। একদিনে ১৬ হাজার ৪৭৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তেই পরিস্থিতি সামলাতে কোমর বেঁধে নামল প্রশাসন। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের পর কোভিড বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। রাজ্যের প্রশাসনিক দফতরের তরফে সাফ বার্তা, রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া চলবে না। আর যে বার্তার প্রয়োগও কার্যত শুরু হয়ে গেল শনিবার থেকেই। মাস্ক না পরায় উত্তরপাড়া, ডানকুনি থেকে গ্রেফতার হলেন প্রায় শতাধিক। পাশাপাশি বেলাগাম সংক্রমণে রাশ টানতে ফের কনটেনমেন্ট জোন ফেরানোর নির্দেশ দিল নবান্ন। তার প্রথম ধাপ হিসেবে পজিটিভ রোগীদের চিহ্নিত করার কাজে জোর দেওয়া হয়েছে।
করোনা বিধি শিকেয় তুলে দুর্গাপুজোয় বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসের মাশুল যে দিতে হবে, তা নিয়ে চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ, সতর্ক করেছিলেন সকলেই।শনিবার সেই আশঙ্কাই যেন প্রতিফলিত হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে। জুলাইয়ের পর রাজ্যে ফের একবার এক হাজার ছুঁইছুঁই দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এই পরিস্থিতিতে ফের কনটেনমেন্ট জোন ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। উত্সবের মরশুম শেষে এসপ্তাহের শুরু থেকেই দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে থাকে। চলতি সপ্তাহে দিন যত এগিয়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণও। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। মহানগর থেকে জেলা, করোনার থাবা থেকে ছাড় পাচ্ছে না কেউ।