নয়াদিল্লি : গত কয়েকদিন ধরেই দেশে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮০। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ১৯৯ জন।
সর্বাধিক সংখ্যক কোভিড সংক্রমণ হয়েছে যে রাজ্যগুলিতে, তার মধ্যে রয়েছে
- কেরল (12,433)
- মহারাষ্ট্র (4,587)
- দিল্লি (2,460)
- গুজরাত (2,013)
- তামিলনাড়ু (1,900)
ফিরছে কোভিড। তাই দেশজুড়ে সোমবার করোনা মক ড্রিলের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কোভিডের সময় যে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল, তা কী অবস্থায় রয়েছে, খতিয়ে দেখতেই এই মক ড্রিল। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে মক ড্রিল হবে আগামীকাল। কীভাবে এই মক ড্রিল হবে, তার জন্য আজ ভিডিও কনফারেন্সে হাসপাতালগুলিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে ৩১টি সরকারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন :
ইনসমনিয়ায় ভুক্তভোগী? রাতে ঘুমের সমস্যা হলে এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলি
কেন্দ্রের নির্দেশ
কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সাথে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রস্তুতির পর্যালোচনা করার জন্য একটি উচ্চ-স্তরের বৈঠক করেন। তিনি রাজ্যগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে হটস্পটগুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন। রাজ্যগুলিতে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। হাসপাতালের পরিকাঠামোর প্রস্তুত করার কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কেন বাড়ছে কোভিড?
দেশে ক্রমাগত ঊর্ধ্বগামী দৈনিক কোভিড সংক্রমণের ছবি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোভিড ভ্যারিয়েন্ট XBB.1.16- এটাই এখন কোভিড সংক্রমণের বৃদ্ধির জন্য দায়ী। বিজ্ঞানীদের মতে ভারতের জনগণের শরীরে স্বাভাবিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন এসেছে, তার সঙ্গেই রয়েছে টিকাজনিত প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেই কারণেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও সেভাবে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা দেখা যাচ্ছে না। যদিও আগেভাগেই সাবধান হতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরতে বলছেন। টিকা না নেওয়া হয়ে থাকলে তা নিয়ে নিতে বলছেন। এর আগেও নরেন্দ্র মোদি কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মিটিং করেছেন। সেখানেও একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল মাস্ক পরা।