নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণে খানিক স্বস্তি। নিম্নমুখী দেশের করোনা-গ্রাফ। প্রায় ৬০ শতাংশ কমল করোনায় দেশের দৈনিক মৃত্যু। এমনকী কমল দৈনিক সংক্রমণও। ২০২০ সালের মার্চের পর দেশে সর্বনিম্ন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২৫ জনের। গতকাল একদিনে ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ২২৯ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ২৭১। 


সোমবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৯২৬ জন। দেশে এখন সুস্থতার হার ৯৮.২৬ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে এই সুস্থতার হার সর্বোচ্চ। 


 






পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গতকালের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭৫ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনও শীর্ষে কলকাতা। শহর কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। উঃ ২৪ পরগনায় একদিনে ১৪০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


অন্যদিকে কোভিড কাঁটা সরিয়ে রাজ্যে মঙ্গলবার থেকে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে। ক্লাস চালু হচ্ছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েরও। ধাপে ধাপে সব শ্রেণির ক্লাস শুরুর ভাবনা শিক্ষা দফতরের। করোনা পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।


মঙ্গলবার থেকে সরকারি স্কুলের (Government School) সঙ্গে রাজ্যে খুলছে বেসরকারি স্কুলও (Private School)। কোনও স্কুলে শিফটে ক্লাস, কোথাও একসঙ্গে অনলাইন-অফলাইন (Online-Offlone) ক্লাস।


আরও পড়ুন: Prasun Banerjee: "রাজীবকে হাওড়ায় ফেরালে মেনে নেওয়া কঠিন,'' বিস্ফোরক প্রসূন


এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জানিয়েছিলেন 'পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন অভিভাবকরাই'। এ দিন তিনি জানান, যে অভিভাবক চাইবেন তিনি তাঁর সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন, যে অভিভাবক চাইবেন না তিনি তাঁর সন্তানকে পাঠাবেন না। কোভিড নিয়ে ভীতি থাকতেই পারে। এ বিষয়ে তাঁদের কোনওরকম জোর করবে না সরকার (West Bengal Government)। এক্ষেত্রে পড়ুয়াদে অ্যাটেনডেন্স সংক্রান্ত কোনও সমস্যাও হবে না বলে স্পষ্ট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Education Minister Bratya Basu)।