নয়াদিল্লি: সন্ত্রাসবাদী হামলায় হাত থাকার জন্য ভারতে ওয়ান্টেড ১৮ জনকে দেশের সন্ত্রাসবাদ দমন আইনের নয়া ধারায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জঙ্গি ঘোষণা করল কেন্দ্র। এরা সকলেই পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বলে দাবি। এদের মধ্যে আছে ১৯৯৩ সালের মুম্বই সিরিয়াল বিস্ফোরণ, ২৬/১১-র মুম্বই জঙ্গি হামলা, আইসি-৮১৪ বিমান অপহরণ, পঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আক্রমণ ও পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলা সহ ভারতে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হানায় জড়িতরা।
১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইনে ২০১৯ এর আগস্টে সংশোধন ঘটিয়ে একটি ধারা যুক্ত হয় যে, শুধুমাত্র গোষ্ঠী নয়, একজন ব্যক্তিকেই সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়া যাবে। সেই সংশোধিত আইনে এই নিয়ে তৃতীয় ব্যাচের সন্ত্রাসবাদীদের তালিকাভুক্ত করা হল।
জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার, লস্কর-ই-তৈবার সহকারী প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ মহম্মদ সঈদ, লস্কর-ই-তৈবা কম্যান্ডার জাকিউর রহমান লকভি, মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমকে গত বছর এই আইনে প্রথম তালিকায় ফেলা হয়। গত জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও ৯ জনকে দ্বিতীয় তালিকায় ঢোকানো হয়। এরা ছিল পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে যুক্ত লোকজন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৮ জন সন্ত্রাসবাদীর নাম নতুন তালিকায় ঢুকিয়ে মোদি সরকার জাতীয় সুরক্ষা জোরদার করা ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি দায়বদ্ধতারই পরিচয় দিল।
আজ যাদের নাম নতুন তালিকায় রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে ২৬/১১-র হামলার মাস্টারমাইন্ড সাজিদ মির, হাফিজ সঈদের শ্যালক আবদুর রহমান মাক্কি, মাসুদ আজহারের ভাই আবদুল রউফ আসগার, হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সঈদ সালাউদ্দিন, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা রিয়াজ ভটকল, তার ভাই ইকবাল, দাউদের ডানহাত বলে পরিচিত ছোটা শাকিল, টাইগার মেমন, জাভেদ চিকনা।