নয়াদিল্লি: সংঘাতের আবহে এবার কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করল ভারত (India-Canada Relations)। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ভিসা পরিষেবা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ভিসা আবেদন সংস্থা BLS ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, পরিচালনা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে আপাতত ভিসা পরিষেবা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নোটিস না আসা পর্যন্ত এই অবস্থাই বজায় থাকবে। (Canada Visa Service Suspension)


বিএলএস ইন্টারন্যাশনাল নামের ওই সংস্থার ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, 'ভারতীয়দের যাত্রা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, পরিচালনা সংক্রান্ত কারণে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত, ভারতীয় ভিষা পরিষেবা বন্ধ থাকবে। পরবর্তী আপডেটের জন্। বিএলএস-এর ওয়েবসাইটে নজর রাখুন'। পরে যদিও ওই লেখা সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও পর্যন্ত।


খালিস্তানপন্থী শিখ নেতার মৃত্যুতে সরাসরি ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে কানাডা সরকার। দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছেন। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা 'র'-র এজেন্টরা কানাডায় হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালাচ্ছেন, তাতে কানাডার সার্বভৌমিকতা নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।



আরও পড়ুন: India-Canada Relations: একদিন আগেই NIA তালিকায় নাম, রাত গড়াতেই কানাডায় গুলিতে ঝাঁঝরা পঞ্জাবের মাফিয়া


সেই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। কানাডার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ভারত। ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডাও। দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তাও। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই মুহূর্তে দুই দেশের নাগরিকদের, একে অপরের দেশে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। 


সোমবার দেশের পার্লামেন্টে ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ট্রুডো। “গত সপ্তাহে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে বিষয়টি উত্থাপিত করি আমি। কানাডার মাটিতে, কানাডীয় নাগরিকের মৃত্যুর নেপথ্যে বহির্দেশের যোগসূত্র পাওয়া গেলে, তাতে আমাদের সার্বভৌমিকতা লঙ্ঘিত হয়, যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনা স্বাধীন, মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার পরিপন্থীও। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সদ্য উদঘাটনে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা। অন্য দেশের মাটিতে এই ধরনের কার্যকলাপ, যা কিনা আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থী, তা নিয়ে ভারতের অবস্থান জানতে চাই।”



খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ নিজ্জরের মৃত্যু নিয়ে এই সংঘাতের সূচনা, তিনি খালিস্তানি টাইগার ফোর্সের (KTF) প্রধান, যে সংগঠনকে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। এ বছর ১৮ জুন সারি-তে একটি শিখ মন্দিরের সামনে গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনার নেপথ্য়ে ভারতীয় গুপ্তচরেরা রয়েছেন বলে অভিযোগ কানাডার।