নয়াদিল্লি: ভারতকে আক্রমণ করলে তার পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত দেশ। মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দেন সেনা প্রধান এম এম নারাভানে। এদিন সেনা দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে সংবাদিক বৈঠকে নারাভানে বলেন, কোনওরকম হুমকি সহ্য করা হবে না। দেশের অভ্যন্তরে হোক বা বহির্দেশের আক্রমণ হোক, সব কিছুর জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত।


গত বছর ভারতের উপর আক্রমণের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন তিনি। জানিয়েছেন,  মূল চ্যালেঞ্জ ছিল করোনা পরিস্থিতি এবং দেশের উত্তর সীমান্ত। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত সেনা বাহিনী। সেনা প্রধান জানিয়েছেন, উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি আছে দেশের উত্তর সীমান্তে। আমরা চাই সীমান্তে শান্তি বজায় থাকুক। কিন্তু অন্য কিছু ঘটতেই পারে। তাঁর কথায়, গত বছর থেকে দফায় দফায় হুমকি দিচ্ছে চিন এবং পাকিস্তান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদকে দেশের মূল কর্মকাণ্ড বানিয়ে তুলেছে পাকিস্তান। জেনারেল নারাভানে বলেন, আমরা সমস্যার সমাধান চাই। আমরা পূর্ব লাদাখে আমাদের অবস্থান বজায় রাখব। আশা করি চিনের সঙ্গে সমঝোতায় আসা যাবে। পাকিস্তান এবং চিনের আক্রমণ প্রসঙ্গে সেনা প্রধান বলেন, পাক মদতপুষ্ট কোনও সন্ত্রাসবাদকে বরদাস্ত করা হবে না। চিন সীমান্তে পূর্ব লাদাখে সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করে। পাকিস্তান এবং চিন একসঙ্গে আক্রমণ করছে।


উল্লেখ্য, গত বছর মে মাসে ভারতীয় জওয়ানদের উপর লাঠি ও পাথর নিয়ে হামলা চালায় চিনা সেনা। এরপর ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ফের ভারতীয় সেনার উপর আক্রমণ করে লাল ফৌজ। তাতে শহীদ হয়েছিলেন ভারতীয় সেনা। এরপর চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ব্যান করে দেওয়া হয় একাধিক চিনা অ্যাপ।  শুধু তাই নয়, এরপরেও গত ২৯ আগস্ট ও ৩০ আগস্ট রাতে প্যাংগং লেকের  দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ভারতের জমিতে ঢোকার চেষ্টা করে চিন। গত বছর ১৯ অক্টোবর ডেমচক সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে আসা এক চিনা সেনাকে আটক করেছিল ভারতীয় সেনা। পরে সীমান্ত চুক্তি মেনে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় চিনের হাতে।