নয়াদিল্লি: রাজস্থানের যোধপুরে (jodhpur) হিংসার ঘটনায় আরও বাড়ল কার্ফুর (Curfew) মেয়াদ। আগে থেকেই কার্ফু বহাল ছিল গোটা এলাকায়। আরও বাড়ানো হল সেই কার্ফুর মেয়াদ। আগামীকাল শুক্রবার, ৬ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হল কার্ফুর মেয়াদ। ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ কমিশনারের তরফ থেকে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। 


কোথায় কড়াকড়ি:
যোধপুর কমিশনারেট এলাকায় ৩ মে থেকে কার্ফু বলবৎ করা হয়েছিল। সেটাই বাড়িয়ে ৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। দুটি এলাকা কার্ফুর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। একটি হল রাইকাবাগ প্যালেস বাস স্ট্যান্ড এবং অন্যটি রাইকাবাগ রেলওয়ে স্টেশন। 


আওতার বাইরে বেশ কিছু ক্ষেত্র:
খবরের কাগজ বিক্রি ও বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোয় বাধা নেই। পরীক্ষার্থীদের কোনওরকম অসুবিধা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়়া চিকিৎসা পরিষেবা, ব্যাঙ্ক, আদালত এবং সংবাদমাধ্যমকে কার্ফুর আওতার বাইৎে রাখা হয়েছে। যদিও গোটা এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে সবরকম ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা।


যোধপুরে হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড়়শো জনকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন। ১৪টি মামলা (case) করা হয়েছে পুলিশের তরফে। জানিয়েছেন রাজ্যের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইনশৃঙ্খলা) হাওয়া সিং ঘুমারিয়া।


সম্প্রতি কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে যোধপুরের জালোরি গেটের সামনে পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে প্রথমে বচসা বাধে। তারপর দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তখনই যোধপুরের ১০টি থানা এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়। বেশকিছু জায়গায় বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। এই ঘটনার নেপথ্যে যারা দোষী বা যাদের গাফিলতি প্রমাণ হবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে গহলৌত সরকার। অন্যদিকে যখন হিংসা ছড়াচ্ছিল, তখনই কেন শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হল না, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।


আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ১১০০ ট্রেন যাত্রা বাতিল, কয়লা সঙ্কটে আরও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা