নয়াদিল্লি: ১৫ নভেম্বর পাকিস্তান বিতর্কিত গিলগিট-বালটিস্তানে বিধান পরিষদ নির্বাচন করিয়ে পুরো অঞ্চলটাকে আরেকটা প্রদেশ বানিয়ে তোলার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার তীব্র বিরোধিতা করল ভারত। সাবেক জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ গিলগিট-বালটিস্তান নিয়ে সাম্প্রতিক কালে একাধিকবার সংঘাত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের, এমনকী তা রাষ্ট্রপুঞ্জের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চেও উঠেছে।
মঙ্গলবার ভারত সেখানে ভোট করানোর পাকিস্তানের সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলে বলেছে, ইসলামাবাদ ওই অঞ্চল বেআইনিভাবে কব্জা করে রেখেছে, সেখানে কোনও চরিত্রগত বদল তারা করতে পারে না।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৫ নভেম্বর, ২০২০-তে তথাকথিত গিলগিট-বালটিস্তানে বিধান পরিষদে নির্বাচনের ঘোষণা সংক্রান্ত রিপোর্ট আমাদের গোচরে এসেছে। ভারত সরকার পাকিস্তান সরকারের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ফের বলেছে, তথাকথিত গিলগিট-বালটিস্তান সহ পুরো জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখের কেন্দ্রশাসিত এলাকাই ১৯৪৭ এর সংযুক্তিকরণের চুক্তি অনুসারে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেআইনি ভাবে, জোর করে দখল করে রাখা ভূখণ্ডের ওপর পাকিস্তান সরকারের কোনও আইনি এক্তিয়ার, বৈধতাই নেই। ভারত সরকার তথাকথিত গিলগিট-বালটিস্তান (নির্বাচন ও তদারকি সরকার ) সংশোধনী আদেশ, ২০২০র মতো সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ও পাক সরকারের নিজেদের বেআইনি দখল, কব্জায় রাখা এলাকায় চরিত্রগত বদল ঘটানোর লাগাতার প্রয়াস সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছে। এ ধরনের পদক্ষেপ পাকিস্তানের কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশ বেআইনি দখলে রাখা বা গত সাত দশক ধরে চলা পাক অধিকৃত ভূখণ্ডে বসবাসকারী জনগণের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন, শোষণ, তাঁদের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত রাখার বিষয়টিও অস্বীকার করতে পারবে না। এগুলো হল বেআইনি দখলদারি আড়াল করে রাখার লোকদেখানো প্রক্রিয়া। আমরা পাকিস্তানকে তাদের বেআইনি দখলে থাকা সব এলাকা অবিলম্বে খালি করতে দিতে বলছি।
গিলগিট-বালটিস্তানে ভোট করার পিছনে পাকিস্তানের ক্ষমতাবান সামরিক কর্তৃপক্ষের পূর্ণ সমর্থন আছে বলে খবর। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টিও নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়াতে এই উদ্য়োগ সমর্থন করছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারাল কামার বাজওয়া, আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়জ হামিদের বৈঠকেও গিলগিট-বালটিস্তানে নির্বাচন ও তাকে প্রদেশের তকমা দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়।