নয়াদিল্লি : ভারতের ত্রিফলা আক্রমণে পর্যুদস্ত পাকিস্তান। আইএনএস বিক্রান্ত করাচি বন্দরকে দুর্মুষ করেছে। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামবাদে বড়সড় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে অবিরত। প্রায় পুরো পাকিস্তানে জারি ব্ল্যাকআউট। এরই মধ্যে ভারতের বিদেশমন্ত্রী কথা বললেন মার্কিন বিদেশসচিব রুবিয়োর সঙ্গে। 

বৃহস্পতিবার রাতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মার্কিন আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলেন।  তাঁকে জয়শঙ্কর স্পষ্ট জানান, পাকিস্তানের এই আক্রমণের বিরুদ্ধে  ভারত দৃঢ়ভাবে লড়াই করবে। তারপরই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর জানান, সন্ধ্যাবেলায় মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর সঙ্গে কথা হয়েছে।

জয়শঙ্কর কী জানালেন                            

জয়শঙ্কর জানান, আমেরিকার বিদেশসচিব জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার সদিচ্ছা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। মার্কিন  সদিচ্ছার প্রশংসা করেন জয়শঙ্কর। তিনি রুবিয়োকে জানান, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পরিমিত প্রতিক্রিয়া দেবে। পাকিস্তানের যে কোনও প্রত্যাঘাতের চেষ্টা কঠোর ভাবে দমন করবে ভারত। অন্যদিকে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানান, রুবিও অবিলম্বে উত্তেজনা কমানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। ট্যামি জানান, রুবিও পহেলগাঁওতে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য আবার সমবেদনা  জানিয়েছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করার জন্য সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।  

আগেও রুরিয়ো জানিয়েছিলেন,  ভারত এবং পাকিস্তানের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট। দুটি দেশই পরমাণু শক্তিতে বলীয়ান। তাই তাদের  মধ্যে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনা যত তাড়াতাড়ি প্রশমিত হয় , ততই ভাল। এই বিষয়ে চেষ্টাও চালিয়ে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরিস্থিতির আপডেট রাখা হচ্ছে হোয়াইট হাউসের থেকে।  

'আমেরিকার মাথা ঘামানোর বিষয় নয়'

তবে বৃহস্পতিবারই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যের বিষয় এটি। আমেরিকা এই যুদ্ধে জড়াবে না। কারণ ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা মৌলিকভাবে আমেরিকার মাথা ঘামানোর বিষয় নয়।  বৃহস্পতিবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তবে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ ও উত্তেজনা কমাতে পরামর্শ দিতে পারে  আমেরিকা। 

অন্যদিকে অপারেশন সিঁদুরের পরই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, " লজ্জাজনক। আমরা এইমাত্র এর সম্পর্কে শুনেছি, তারা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে... আমি আশা করি এটি খুব দ্রুত শেষ হবে।"